এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
টিউশন নিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী। কিন্তু আর তাঁরা বাড়ি ফেরেননি। শনিবার থেকে নিখোঁজ ওই দু’জনের দেহ পাওয়া গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীনগর এবং মাধবনগর স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায়। এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতাদের বাড়ি কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর এলাকায়। সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের ছাত্রী ছিলেন দু’জন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার কাশীনগর এবং মাধবনগর স্টেশনের মাঝামাঝি একটি জায়গায় দুই তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। কয়েক জনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে মৃতাদের পরিচয় জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতাদের নাম সুমিতা দাস এবং সোমা জানা। দু’জনেই শনিবার টিউশন নিতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর থেকে দুই ছাত্রীর পরিবার আর তাঁদের খোজ পায়নি। রবিবার স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে দুই ছাত্রীর পরিবারকেও। মৃতাদের মধ্যে সুমিতার পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবে দু’জনকে খুন করা হয়েছে। ছোটবেলা থেকে সুমিতা মামার বাড়িতে থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও খুনের কারণ কী বা কারা জড়িত থাকতে পারেন, এ নিয়ে কিছু বলতে পারেনি পরিবার।
হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ ওই ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে বলে খবর। তবে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে না কি খুন করা হয়েছে দুই তরুণীকে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।