—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আবার বাংলাদেশি গ্রেফতার। এ বার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া। মঙ্গলবার জাল আধার কার্ড সমেত দুই বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছে এ দেশে আসার বৈধ কোনও কাগজপত্র ছিল না। তাঁদের এ রাজ্যে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল আধার কার্ড বানানোর চক্র ফাঁস হয়েছে। ওই অসাধু চক্রেরও তিন জনকে পাকড়াও করা হয়েছে।
হাবড়া থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই বাংলাদেশির নাম সন্ধ্যা রায় এবং সুপর্ণা রায়। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৪৩ এবং ১৮ বছর। আদতে বরিশালের বাসিন্দা দু’জন সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকেন। তাঁদের কাছে পাসপোর্ট নেই। নেই অন্য কোনও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। কেন বাংলায় ঢুকেছিলেন, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
ধৃতদের কাছ থেকে ভারতীয় আধার কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে অমিত মণ্ডল নামে এক ৩৬ বছরের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের মানিকতলার বাসিন্দা। তদন্তে উঠে এসেছে,অমিতের সাহায্যেই জাল আধার কার্ড তৈরি করে দুই মহিলাকে দেওয়া হয়েছিল। ওই চক্রে জড়িত আরও তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৩৪ বছরের মতিউর রহমান। যাঁর বাড়ি বাংলাদেশের নাটোরে। এ ছাড়া হাবড়ার বাসিন্দা সায়ন হোসেন এবং মানিকতলা এলাকার মিন্টু দাস রয়েছেন। মঙ্গলবার সকলকেই বারাসত আদালতে হাজির করানো হয়। জাল আধার তৈরি করে ভারতের নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি অবৈধ ভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ-সহ বিভিন্ন অভিযোগ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করতে পুলিশ তাঁদের হেফাজতে চাইছে।