Junior Doctor’s Protest

পঞ্চমীতে সব মেডিক্যাল কলেজে ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন, ধর্মতলা থেকে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে প্রতীকী অনশনের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ১২ ঘণ্টা অনশন করবেন তাঁরা। তাঁদের এই অনশনে যোগ দেবেন সিনিয়র চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫১
দেবাশিস হালদার।

দেবাশিস হালদার। ছবি: সংগৃহীত।

পঞ্চমীতে একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল জুনিয়র ডক্টর্স’ ফ্রন্ট। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে প্রতীকী অনশনের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ১২ ঘণ্টা অনশন করবেন তাঁরা। তাঁদের এই অনশনে যোগ দেবেন সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

সোমবার ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চ থেকে একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা অবধি প্রতীকী অনশন হবে। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা এই অনশনে যোগ দেবেন।’’ এ ছাড়াও একটি ‘মহামিছিল’-এরও ঘোযণা করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের সময় কলেজ স্কোয়্যার থেকে অনশন মঞ্চ পর্যন্ত মিছিল হবে। সাধারণ নাগরিক থেকে সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রের মানুষকে এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

শনিবার রাত থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন চলছে ধর্মতলায়। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচার এবং হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। প্রথমে ছ’জন অনশন শুরু করেছিলেন। রবিবার যোগ দেন আরজি করের অনিকেত মাহাতোও। অনশন কর্মসূচিতে এখনও সরকারের সাড়া মেলেনি। তাকে কেন্দ্র করে ধর্মতলা চত্বরে সাধারণ মানুষের জমায়েতও হচ্ছে। জুনিয়রদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাতে সোমবার সকালে ২৪ ঘণ্টার জন্য অনশনে যোগ দিয়েছেন কয়েক জন সিনিয়র ডাক্তারও। সেই আবহেই প্রতীকী অনশনের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।

অন্য দিকে, ধর্মতলার অনশনে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। কলকাতা পুলিশই ধর্মতলা চত্বরে নিরাপত্তার স্বার্থে ১৬৩ ধারা জারি করেছে। তার পরেও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচি চলছে। অনশনের জন্য ডাক্তারেরা লালবাজারের অনুমতি চেয়ে ইমেল করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। লালবাজার থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ধর্মতলায় পুজোর মুখে ভিড় বেশি রয়েছে। প্রতি দিনই পুজোর কেনাকাটার জন্য বহু মানুষ ভিড় করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারেরা মেট্রো চ্যানেলের সামনে অবস্থানে বসলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে, জানিয়েছিল পুলিশ। তবে অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও অনশন শুরু করেছেন ডাক্তারেরা। সোমবার সেই অনশনের তৃতীয় দিন।

আরও পড়ুন
Advertisement