—প্রতীকী ছবি।
চাকরি পাওয়ার পরীক্ষা দিতে গিয়ে অদ্ভুত আবদার করে বসলেন চাকরীপ্রার্থী। এক আবদারেই চাকরি আবেদন থেকে নাম কাটা গেল তাঁর। চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় নিয়োগকর্তার কাছে তিনি একটি একটি অ-পেশাদার অনুরোধ করেছিলেন। যার ফলে তাঁর চাকরির সুযোগটি নষ্ট হয়ে যায়। সংস্থায় একটি আর্জিটি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই তার চাকরির আবেদন বাতিল হয়ে যায়। কী এমন আবেদন করেছিলেন তরুণী? নিয়োগকারী সংস্থার সিইও বিনোদ চেন্দিল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন ওই তরুণী চাকরি পাওয়ার পর তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করার নিয়োগকর্তাদের দেখা করার অনুরোধ জানান। ওই তরুণী চেয়েছিলেন চাকরিতে যোগদান করার আগে তাঁর স্বামী এসে হ্যাঁ-সূচক সম্মতি দিন।
সেই আবেদন শুনে হতবাক হয়ে যান যাঁরা সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। এ-হেন আবদার শুনে পত্রপাঠ তরুণীকে চাকরি থেকে বাতিল করে দেন তাঁরা। চেন্দিল তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আজ একজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি চেয়েছিলেন আমরা তাঁকে নির্বাচন করার পর তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করি। কারণ তিনি চান তাঁর স্বামী আমাদের সংস্থায় যোগদানের জন্য হ্যাঁ বলুন। মূলত তিনি চান তাঁর স্বামী আমাদেরই সাক্ষাৎকার নিন এবং পরখ করতে চান স্ত্রীর যোগদানের জন্য সংস্থাটি উপযুক্ত কিনা।’’ ‘‘এক জন স্বাধীন মহিলা কেন তা চাইবেন?’’ প্রশ্ন তুলেছেন মুম্বইয়ের একটি নুড্লস ব্র্যান্ডের সিইও। সিইও উল্লেখ করেন যে তরুণী সংস্থায় একটি উচ্চপদে যোগ দেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
এই পোস্ট দেখে সমাজমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন তরুণী যদিও নিজের কোনও মৌলিক সিদ্ধান্তই নিতে না পারেন তা হলে সংস্থার প্রয়োজনে কী ভাবে গুরুত্ব পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন। কয়েকজন মন্তব্য করেছেন, তিনি কোনও ইন্টার্ন নন যে সিদ্ধান্ত নিতে অভিভাবকের প্রয়োজন পড়বে।