—প্রতীকী ছবি।
সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই এমন সব ঘটনার কথা শোনা যায়, যা শুনে নেটাগরিকেরা রীতিমতো বিস্মিত হন। সেই ঘটনাগুলি দর্শকদের দৃষ্টিও আকর্ষণ করে। আমেরিকার এক মহিলার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সে রকমই এক ঘটনা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়েছে নেটদুনিয়ায়। ওই মহিলার চমকপ্রদ ‘আবিষ্কার’ সমাজমাধ্যমে ঝড় তুলেছে। কিন্তু কী সেই ঘটনা?
সংবাদমাধ্যম ‘নিউইয়র্ক পোস্ট’-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, লেসি ডে নামে এক মহিলা বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁর বাড়ির দেওয়ালের পিছনে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ঘাবড়ে যান তিনি। ফ্যাসফ্যাসে সেই শব্দ শুনে খানিকটা ভয়ও পান। দেওয়ালের পিছনে কী রয়েছে এবং কোথা থেকে এই আওয়াজ আসছে তা নিয়ে সন্দিহানও হয়ে পড়েন। বেশ কয়েক জনকে ডেকে শুরু করেন অভিযান। কাঠের দেওয়ালের মধ্যে গর্ত করতেই অন্ধকারে দু’টি চোখ জ্বলজ্বল করতে দেখেন তাঁরা। সকলেই হতবাক হয়ে যান। তবে টর্চের আলো ফেলতেই বিস্ময় আরও বাড়ে। তাঁরা দেখেন, চোখ দু’টি আর কারও নয় , একটি বিড়ালের। কোনও ভাবে সেটি লেসির বাড়ির দেওয়ালের ফাঁকে আটকে গিয়েছিল।
এর পরেই বিড়ালটিকে উদ্ধার করেন লেসি। প্রথমে বিড়ালটি রেগে ফোঁস ফোঁস করলেও পরে সে শান্ত হয়। লেসির ধারণা, বিড়ালটি তাঁর কোনও প্রতিবেশীর। কোনও ভাবে সে ওই দেওয়ালের মাঝে আটকে পড়ে। বিড়ালটিকে উদ্ধারের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই টিকটকে ভাইরাল হয়েছে। লক্ষ লক্ষ বার দেখা হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, লেসি এবং উদ্ধারকারীরা দেওয়ালের গর্ত দিয়ে ভিতরে উঁকিঝুঁকি মারছেন। তখনই একটি ঝুলোয় মাখা বিড়ালকে মুখ বাড়াতে দেখা যায়। উদ্ধার করা হয় তাকে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।