winner of million jackpots

১২২৪ কোটির লটারি জিতে প্রথমেই কিনলেন এক জোড়া অন্তর্বাস! দান করলেন ৬৪১ কোটি টাকা

এই লটারিটি সেই সময়ে ইংল্যান্ডের চতুর্থ বৃহত্তম লটারি ছিল। যার পুরস্কারমূল্য ছিল বারোশো চব্বিশ কোটি টাকা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৮
Woman from Ireland won jackpot lottery and donated half amount

ছবি: সংগৃহীত।

রাতারাতি ১২২৪ কোটির মালিক হয়েছিলেন ফ্রান্সিস কনলি। এই বিপুল টাকা হাতে পেয়ে তিনি যা করলেন তাতে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। লটারি থেকে জেতা পুরস্কারের প্রায় অর্ধেক টাকাই দান করে দিয়েছিলেন প্রিয় মানুষকে। যা দিয়ে দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খোলা হয় পরবর্তী কালে। এই টাকা দিয়ে ৫৮ বছরের কনলি নিজেদের জন্য একটি মাত্র দামি জিনিস কেনেন তা হল ৬ কামরার একটি বাড়ি ও সাত একর জমি। এ ছাড়াও লটারির টাকা দিয়ে তিনি নিজের জন্য কেনেন এক জোড়া অন্তর্বাস। তাঁর স্বামী এখনও একটি পুরনো মডেলের গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ান বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

দ্য সানের প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি আরমাঘের বাসিন্দা প্যাট্রিক ও ফ্রান্সিস কনলি ২০১৯ সালে একটি লটারির টিকিট কাটেন। এই লটারিটি সেই সময়ে ইংল্যান্ডের চতুর্থ বৃহত্তম লটারি ছিল। যার পুরস্কারমূল্য ছিল বারোশো চব্বিশ কোটি টাকা। এর থেকে ৬৪১ কোটি টাকা এক কথায় দান করে দেন কনলি দম্পতি। লটারি পাওয়ার পর তাঁরা চুপচাপ এক বস্ত্রে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে হোটেলে চলে যান। কারণ লটারি জেতার পর ডাকাতির আশঙ্কা করেছিলেন কনলি দম্পতি।

প্রাক্তন সমাজকর্মী এবং শিক্ষিকা ফ্রান্সিস দু’টি দাতব্য সংস্থা তৈরি করেন, যার মধ্যে একটি তাঁর মা প্রয়াত ক্যাথলিন গ্রাহামের স্মৃতির উদ্দেশে। ফ্রান্সিসের স্বামী একজন ব্যবসায়ী। ছোট থেকেই অন্যকে সাহায্য করার প্রবণতা ছিল ফ্রান্সিসের মধ্যে। ন’বছর বয়স থেকে তিনি সেন্ট জন অ্যাম্বুল্যান্সের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। বিপুল অঙ্কের টাকা হাতে এলেও নিজেদের জীবনযাত্রার কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement