Manmohan Singh

কেন বেশির ভাগ সময়ে নীল পাগড়ি পরতেন মনমোহন? নেপথ্যে লুকিয়ে কোন রহস্য

জীবদ্দশায় মনমোহনকে বেশির ভাগ সময়ই দেখা যেত নীল পাগড়ি পরে। কিন্তু কেন বেশির ভাগ সময়ে নীল পাগড়ি পরতেন দেশের সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী? সে কথা জানিয়েছিলেন মনমোহন নিজেই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৪৪
Why did former PM of India Manmohan Singh often wear Blue turban

মনমোহন সিংহ। —ফাইল চিত্র।

দিল্লির এমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক এবং অর্থনীতিবিদ বয়সজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ তড়িঘড়ি তাঁকে এমস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর প্রয়াণ হয়।

Advertisement

জীবদ্দশায় মনমোহনকে বেশির ভাগ সময়ই দেখা যেত নীল পাগড়িতে। কিন্তু কেন নীল পাগড়ি পরতেন দেশের সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী? সে কথা জানিয়েছিলেন মনমোহন নিজেই। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নীল পাগড়ি পরার নেপথ্যে নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। তবে নীল তাঁর সবচেয়ে পছন্দের রং। ২০০৬ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টরেট অফ ল’ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন মনমোহন। তিনি জানিয়েছিলেন, কেমব্রিজে পড়াশোনোর সময়ও তিনি নীল রঙের পাগড়ি পরে থাকতেন বলে, বন্ধুরা তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘ব্লু টারবান’ বা নীল পাগড়ি। যদিও কেউ কেউ দাবি করেন, কেমব্রিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক রং নীল। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সম্মানের খাতিরেই নাকি তিনি নীলরঙা পাগড়ি পরতেন।

মনমোহনের প্রয়াণে রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে সকলেই শোকপ্রকাশ করেছেন। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকবার্তা আসছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও। কেউ প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান, কেউ বর্তমান বিদেশসচিব। মনমোহনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সকলেই। তাঁর প্রয়াণে সাত দিনের জাতীয় শোকও ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব জি পার্থসারথি দেশের সকল মুখ্যসচিব এবং অন্য উচ্চপদস্থ আমলাদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত দেশে ‘জাতীয় শোক’ চলবে। ‘জাতীয় শোক’ ঘোষণা হওয়ার অর্থ, এই সময় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং সরকারি স্তরে কোনও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হবে না।

Advertisement
আরও পড়ুন