গলা অবধি মদ খেয়ে স্কুলে ঢুকলেন প্রধানশিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত।
পরনে সাদা হাফ হাতা স্যান্ডো গেঞ্জি, লুঙ্গি। গলা অবধি মদ খেয়ে পা টলমল। মাথার চুল উস্কোখুস্কো। এই অবস্থাতেই স্কুলে ঢুকলেন প্রধানশিক্ষক! ছত্তীসগঢ়ের যশপুর জেলায় এমন এক কাণ্ড ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই প্রধানশিক্ষকের নাম রোমানুস কুজুর। তিনি ফরসাবাহার ব্লকের খাভাসাকানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ছিলেন। পাঁচ বছর আগে তিনি ওই পদে যোগ দেন। তাঁর কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুরো ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, স্যান্ডো গেঞ্জি এবং লুঙ্গি পরে মত্ত অবস্থায় টলতে টলতে স্কুলে ঢুকছেন ওই প্রধানশিক্ষক। স্কুলে ঢুকেই সহকর্মীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ওই সহকর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পুরো স্কুল ধ্বংসের জন্য আপনি দায়ী। আপনার কারণেই শিশুরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।’’ এর পর ওই প্রধানশিক্ষক স্কুলের অন্য একটি কক্ষে ঢোকেন। সেখান থেকে বেরিয়ে স্কুলের বাইরে চলে যান।
অভিযোগ, ওই প্রধানশিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসতেন না। মত্ত অবস্থায় এলেও লুঙ্গি পরে এসে রেজিস্টার খাতায় সই করে আবার চলে যেতেন। তাঁকে অনেক বার সাবধান করা সত্ত্বেও তিনি কারও কথা শোনেননি। তাঁর কারণে অনেক পড়ুয়া স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ।
এর পর মঙ্গলবার ওই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরে প্রশাসনের তরফে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ওই প্রাইমারি স্কুলে তিন জন শিক্ষক এবং মাত্র পাঁচ জন পড়ুয়া রয়েছে।