Viral Video

‘বাবার অনেক টাকা, চারটে কলেজ তৈরি করতে পারবে’, অধ্যাপিকাকে হুমকি পড়ুয়ার, হইচই ভাইরাল ভিডিয়োয়

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই পড়ুয়া ক্লাসে ৪০ মিনিট দেরিতে প্রবেশ করেছিলেন। এর পর অধ্যাপিকার অনুমতি না নিয়েই ক্লাসের ভিতরে চলে যান তিনি। এর পরেই অধ্যাপিকার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয় ওই পড়ুয়ার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০৭
Video of college student misbehaving with professor in Rajasthan makes internet angry

ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

বাবা জেলাশাসককে চেনে। প্রচুর পয়সার মালিক। তাই কারও কাছ থেকে সহবত শেখার দরকার নেই তাঁর। হুমকির সুরে অধ্যাপিকাকে এমনটাই বললেন এক কলেজপড়ুয়া। রাজস্থানের উদয়পুরের মোহনলাল সুখাদিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমএস কলেজের ঘটনা। এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই হইচই পড়েছে রাজস্থান জুড়ে। কী ভাবে এক জন কলেজপড়ুয়া অধ্যাপিকার সঙ্গে এ রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে পারে? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। পুরো ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই পড়ুয়া ক্লাসে ৪০ মিনিট দেরিতে প্রবেশ করেছিলেন। এর পর অধ্যাপিকার অনুমতি না নিয়েই ক্লাসের ভিতরে চলে যান তিনি। এর পরেই অধ্যাপিকার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয় ওই পড়ুয়ার। অধ্যাপিকা তাঁকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার কথা বললে হুমকির সুরে ওই পড়ুয়া বলেন, ‘‘আমার বাবা চাইলে এ রকম চারটে কলেজ তৈরি করতে পারতেন। জেলাশাসকের সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে আমার বাবার। প্রচুর টাকার মালিক। আমাকে শৃঙ্খলা শেখাতে আসবেন না।’’ এর পরেই মেঝেতে থুতু ফেলে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে যান তরুণ। পুরো ঘটনাটি পড়ুয়ারই এক সহপাঠী ক্যামেরাবন্দি করেন। সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এফএমএস কলেজের ডিরেক্টর ওই তরুণের বিরুদ্ধে প্রতাপনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ‘ঘর কা কলেশ’ নামে এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা ভিডিয়ো বহু মানুষ দেখেছেন। মন্তব্যের ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যম জু়ড়ে। ওই তরুণের আচরণ নিন্দনীয় মন্তব্য করে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। অনেকে আবার ওই পড়ুয়ার শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘কোনও প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের মনোভাব বরদাস্ত করা উচিত নয়।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘এই ছাত্রটিকে সহবত শেখানো উচিত। নিন্দনীয় ঘটনা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement