ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
সম গোত্রের তো বটেই, বিসম গোত্রের সমুদ্রের প্রাণীদের মধ্যেও সখ্য তৈরি হয়। মানুষের মতো তারাও একসঙ্গে বেড়াতে ভালবাসে। মাঝেমধ্যে হানাহানি ভুলে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে তাদেরও ইচ্ছা করে। একটি ভিডিয়ো দেখে তেমনটাই মনে করছে নেটাগরিকদের একাংশ। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সমুদ্রের দুই অসম প্রজাতির মধ্যে গড়ে উঠেছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। হাঙরের পিঠে চড়ে দিব্যি সমুদ্রসফরে বেরিয়ে পড়েছে একটি অষ্টপদ। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও এই ভাইরাল ভিডিয়োটি সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে একটি অক্টোপাস একটি বড় হাঙরের পিঠ আঁকড়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কমলা রঙের মাওরি অক্টোপাসটিকে একটি বড় আকারের শর্টফিন মাকো হাঙরের পিঠে চড়তে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োটি ২০২৩ সালের তোলা হলেও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে নজর কেড়েছে। ‘নেচার ইজ় অ্যামেজ়িং’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে গত ২২ মার্চ প্রকাশিত সেই ভিডিয়োটি দেখে তাজ্জব হয়েছেন নেটাগরিকেরাও। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল নিউ জ়িল্যান্ডের উত্তর উপকূলে হাউরাকি উপসাগরে। আকস্মিক ভাবেই এই দৃশ্যটি ধরা পড়ে কয়েক জন সমুদ্র গবেষকের চোখে। ড্রোন উড়িয়ে তাঁরা সেটি ক্যামেরাবন্দি করেন।
পরে এই ভিডিয়োটি পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা বিষয়টিকে ‘অত্যাশ্চার্য’ বলে উল্লেখ করেন। ঘটনাটি অস্বাভাবিক কারণ, মাওরি অক্টোপাস সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ঘোরাফেরা করে, যেখানে শর্টফিন মাকো হাঙর খুব কম আসে। এই হাঙর বিশ্বের দ্রুততম হাঙরগুলির মধ্যে অন্যতম। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সমুদ্রে যাতায়াতের জন্য হাঙরটিকে ব্যবহারের জন্য অক্টোপাসটিকে বুদ্ধিমান বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। এক জন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘অক্টোপাসটি প্রতিভাবান। পরিশ্রম নয়, বুদ্ধি দিয়ে কাজ করেছে।’’ এক জন মজা করে মন্তব্য করেছেন, ‘‘অক্টোপাসভাই, তুমি নিজেই একটা উবর কিনেছ।’’