—প্রতীকী ছবি।
১৬ জানুয়ারি সারা বিশ্বে জু়ড়ে বিকল হয়ে পড়বে ইন্টারনেট পরিষেবা। এক নেটপ্রভাবীর এমন দাবিতে হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। কিন্তু কী ভাবে এত জোর দিয়ে এই কথা বলছেন ওই নেটপ্রভাবী? তাঁর দাবি, ১৬ জানুয়ারি বিশ্ব জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বিকল হয়ে পড়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে আমেরিকার জনপ্রিয় কার্টুন শো ‘দ্য সিম্পসন্স’। আর সেই কারণেই নাকি বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন তিনি।
‘দ্য সিম্পসন্স’। আমেরিকার এই কার্টুন শো শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। বিপুল জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল ওই শো। এখনও সমান জনপ্রিয়। ‘দ্য সিম্পসন্স’ কার্টুনে এমন অনেক ঘটনা দেখানো হয়েছে, যেগুলি পরবর্তী কালে সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেন সেই শোয়ের অনুরাগীরা। কেমন ছিল ‘সিম্পসন’ শোয়ের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’? ২৪ বছর আগে একটি পর্বে দেখানো হয়েছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এক দিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন। এর অনেক পরে প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প। ২০০৬ সালের একটি পর্বে দেখানো হয়েছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজতে গিয়ে বিপদের মুখে পড়েছে সিম্পসন পরিবার। ২০২৩ সালের জুনে একই রকমের এক ঘটনা ঘটে। ‘সিম্পসন’ শোয়ের অনুরাগীদের দাবি, করোনা অতিমারি যে আসবে, তা-ও নাকি আগেই দেখানো হয়েছিল। আমেরিকার ‘টুইন টাওয়ার’ বিপর্যয়ের ভবিষ্যদ্বাণীও নাকি করেছিল ‘সিম্পসন’ শো। সম্প্রতি একটি ভিডিয়োয় এ-ও দাবি করা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে যে ভয়াবহ আগুন লাগবে, তা-ও নাকি দেখিয়েছিল ওই কার্টুন শো। আর সেখানেই নাকি ১৬ জানুয়ারি বিশ্ব জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার বিষয়টিও দেখানো হয়েছে। সেই জন্যই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করছেন ওই নেটপ্রভাবী।
ওই নেটপ্রভাবীর দাবি, ‘দ্য সিম্পসন্স’-এর একটি পর্বে দেখানো হয়েছিল যে, ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি সারা বিশ্বে ইন্টারনেটের সমস্যা দেখা যাবে। ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মতো ঘটনা ঘটবে। তবে এই দাবি শুধু এক জনের নয়। বিষয়টি নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন ‘সিম্পসন’ শোয়ের অন্য অনুরাগীরাও। অনুরাগীদের একাংশ বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট বিভ্রাটের দাবির সপক্ষে যুক্তি দিলেও অন্য একাংশ দাবি করছেন ওই বিভ্রাট শুধু আমেরিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে অনেকেই আবার বিষয়টি বাজে কথা এবং ভুয়ো খবর বলে দাবি করেছেন।
অনেকেই বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সমাজমাধ্যমে। (যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)
উল্লেখ্য, ‘দ্য সিম্পসন্স’-এর নির্মাতা ম্যাট গ্রোইনিং। উল্লেখ্য, ‘দ্য সিম্পসন’ নিয়ে অনেক ‘কন্সপিরেসি থিয়োরি’ রয়েছে। এগুলির মধ্যে অন্যতম, সিম্পসনের নির্মাতা ম্যাটের কাছে নাকি এমন এক যন্ত্র রয়েছে, যা চড়ে তিনি ভবিষ্যৎ দেখে এসেছেন এবং সেই মতো তৈরি করেছেন ‘দ্য সিম্পসন্স’-এর বিভিন্ন পর্ব। আবার অনেকের মতে, ম্যাট ভবিষ্যৎ দেখতে পান। তবে সেই দাবির কোনও সত্যতা কখনও প্রমাণ হয়নি। ম্যাট নিজে সে কথা কখনও স্বীকার করেননি।