ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ করতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়লেন প্রতারক। ভুয়ো পুলিশ সেজে ভিডিয়ো কল করে বসলেন সত্যিকারের পুলিশ আধিকারিককে। মঙ্গলবার ত্রিশুর থানার এক পুলিশ আধিকারিককে ফোনটি করেন ওই প্রতারক। ফোন করার সময় তিনি পুলিশের পোশাকে ছিলেন। তবে আসল পুলিশকে দেখে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যায় তাঁর। ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন তিনি। আসল এবং নকল পুলিশের কথোপকথনের সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ত্রিশুর থানার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ভাইরালও হয়েছে সেই ভিডিয়ো।
সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ত্রিশুরের সাইবার বিভাগের এক আধিকারিককে ভিডিয়ো কল করেছেন অন্য এক ‘পুলিশ’ আধিকারিক। গায়ে পুলিশের উর্দি। পাশে ভারতীয় পতাকা। পিছনে থাকা আলমারিতে বই। তবে ফোন আসার পরেই সাইবার বিভাগের আধিকারিক বুঝে যান, পুলিশের ছদ্মবেশে যিনি ফোন করেছেন, তিনি এক জন প্রতারক। উদ্দেশ্য, পুলিশের নামে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতানো। যখন ফোনটি আসে তখন নিজের দফতরেই ছিলেন ত্রিশুরের সাইবার বিভাগের ওই আধিকারিক। তাঁর পরনে ছিল আসল পুলিশের পোশাক। তবে ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের মুখ বা পোশাক প্রতারককে দেখাননি তিনি। বরং তিনি জানান, তাঁর ফোনের ক্যামেরায় কোনও সমস্যা রয়েছে। আর তা শুনে গলার সুর আরও চড়ান পুলিশরূপী প্রতারক। সাইবার সেলের সেই আধিকারিককে নিজের মুখ দেখাতে বলেন। এর পরে নিজের মুখ এবং পোশাক দেখান সাইবার সেলের পুলিশ আধিকারিক। আসল পুলিশক দেখে চমকে যায় নকল পুলিশ। চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় প্রতারকের। বুঝতে পারেন, সত্যিকারের পুলিশকে ফোন করে ফেলেছেন তিনি। এর পর ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা হয় তাঁর। বোকার মতো হাসতে থাকেন। এর পর সাইবার সেলের সেই আধিকারিক তাঁকে বলেন, ‘‘আপনি ত্রিশুরের সাইবার বিভাগে ফোন করেছেন। এই কাজ করা বন্ধ করুন। আমার কাছে আপনার ঠিকানা আছে।’’ সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। লক্ষাধিক বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। অনেকে অনেক মজার মজার মন্তব্যও করেছেন। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘এই প্রথম চোর, যে পুলিশের কাছে ফেঁসে গিয়ে হাসছে। দারুণ কাজ করেছে ত্রিশুর পুলিশ!’’