প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
মাসে আয় মাত্র ১২ হাজার টাকা। তার থেকে সন্তানের ভরণপোষণের জন্য স্ত্রীকে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা! স্ত্রীর এমন অদ্ভুত দাবি শুনে অবাক খোদ বিচারপতিই। স্ত্রীর এই দাবি স্রেফ নাকচ করে দিয়েছে কর্নাটক হাই কোর্ট। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ভরণপোষণের মামলা করা হয়েছে তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন স্বয়ং বিচারপতিই। এমনই এক মামলার শুনানির ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোনি কপূর নামে এক ব্যক্তির এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) থেকে এই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আদালতে সন্তানের ভরণপোষণের জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়ার আদেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুবক। তাঁর উকিল আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের মাসিক আয় খাতায়কলমে ১৮ হাজার টাকা হলেও, তিনি হাতে পান মাত্র ১২ হাজার টাকা। এই তথ্য জানতে পেরে মহিলা বিচারপতি অবাক হয়ে মামলাকারীর আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন তোলেন, ১০ হাজার টাকা ভরণপোষণ দিলে ওই ব্যক্তির নিজের খরচ চলবে কেমন করে? বিচারপতির মন্তব্য করেন, ‘‘তিনি কী ভাবে বাঁচবেন?’’ মামলার শুরুতে মহিলার আইনজীবী বিচাপরতিকে বলেন, ভরণপোষণ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি তখন নিম্ন আদালতের রায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। মামলাকারীর আইনজীবী বলেন যে, স্ত্রীকে কিছুই দেওয়া হয় না। তবে পুত্রের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। এক জন মানুষ বেকার হয়ে গেলে এই ভরণপোষণ কী ভাবে দেওয়া হয়? আদালত কি সেই মামলা বিবেচনা করবে? এক জন এক্স ব্যবহারকারী জিজ্ঞাসা করেছেন এই পোস্টটিতে। এক জন পোস্টে মন্তব্য করেছেন, মহিলারা যখন বেশি উপার্জন করতে পারেন তখন কেন স্বামীদের ভরণপোষণ দিতে বাধ্য করা হবে? আর এক জন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, স্ত্রীর দাবি অযৌক্তিক। উভয় পক্ষের প্রতি ন্যায্য বিচার করার জন্য বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।