—প্রতীকী ছবি।
ভালবাসার মানুষদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে কে না চায়! যদি মৃত্যুকে এড়িয়ে আজীবন একসঙ্গে কাটানো যেত, তা হলে কতই না ভাল হত! মানুষের এই ‘অলীক’ কল্পনা বাস্তবে পরিণত করতে চলেছে জার্মানির এক সংস্থা। মৃত্যুর পর আবার মানুষের প্রাণবায়ু ফিরিয়ে দেওয়ার প্রযুক্তির যুগান্তকারী আবিষ্কারের দাবি করেছে তারা।
সংস্থার সিইও ব্রায়ান জনসনের দাবি, মৃত্যুর পর আবার মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা যায়। শুধু তা-ই নয়, বয়স প্রতিরোধী (অ্যান্টি এজিং) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বয়সের চাকা উল্টো দিকে ঘোরানো সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ‘ক্রায়োপ্রিজ়ার্ভেশন’ নামে একটি পদ্ধতির মাধ্যমে মানবদেহ তরল নাইট্রোজেনের মধ্যে রেখে সংরক্ষিত করা হয়। সেই দেহ -১৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে দশ দিন ধরে সংরক্ষণ করা হয়। এর ফলে দেহের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলি অনির্দিষ্ট কালের জন্য থমকে যায়। জার্মানির সেই সংস্থার লক্ষ্য এমন একটি পৃথিবী তৈরি করা, যেখানে মৃত্যুর নিয়ন্ত্রণ থাকবে মানুষের হাতেই।
ইতিমধ্যেই ছ’জন ব্যক্তি অমরত্বের ‘লোভে’ পা বাড়িয়েছেন। তালিকায় নাম রয়েছে পাঁচ পোষ্যেরও। সংস্থার দাবি, আরও ৬৫০ জন ব্যক্তি বিশেষ পদ্ধতিতে ‘অমরত্ব’ লাভের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। যদিও তাঁদের সকলের নাম অপেক্ষমাণ তালিকা (ওয়েটিং লিস্ট)-য় রয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কেউ যদি শুধুমাত্র তাঁর মস্তিষ্ক সংরক্ষণ করতে চান তা হলে ৬৭.২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আবার কেউ যদি তাঁর সম্পূর্ণ দেহ সংরক্ষণ করতে চান তা হলে ১.৮ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।