Bizarre

বছরে কোটি টাকা বেতন! কমপক্ষে ১০ বছরের ছোট, ছিপছিপে প্রেমিকার ‌খোঁজে অধ্যাপক

চিনের নামী ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন লোউ। বছরে ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা বেতন পান তিনি। খেলাধুলা এবং আর্থিক বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ রয়েছে লোউয়ের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৪:৪২

—প্রতীকী ছবি।

বছরে এক কোটি টাকা উপার্জন করা কি মুখের কথা নাকি! তাই সম্পর্কে জড়াতে হলেও বুঝেশুনে এগোবেন তরুণ। পছন্দের তালিকা মিলে গেলে তবে সম্পর্কে এগোবেন তিনি। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করলেন তিনি।

Advertisement

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণের নাম লোউ। ৩৫ বছর বয়সি তরুণ পেশায় চিনের জেজিয়াং ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক। জেজিয়াংয়ের ইয়ু এলাকায় থাকেন তিনি। আর্থিক দিক দিয়ে সচ্ছল তাঁর পরিবার। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি। চিনের নামী ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন লোউ। বছরে ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা বেতন পান তিনি। খেলাধুলা এবং আর্থিক বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ রয়েছে লোউয়ের। বর্তমানে ‘সিঙ্গল’ রয়েছেন তরুণ। প্রেম করার ইচ্ছা মনে মনে ষোলো আনা থাকলেও তাঁর পছন্দের তালিকা বেশ লম্বা।

তালিকা অনুযায়ী কোনও তরুণীর সঙ্গে সমস্ত ‘গুণ’ মিললেই সম্পর্কে এগোতে পারেন লোউ। তরুণ জানান, তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে বয়সের পার্থক্য কমপক্ষে দশ বছর হওয়া প্রয়োজন। তরুণীর জন্মসাল ২০০০ অথবা তার পর হলে ভাল হয়। লোউয়ের উচ্চতা ১৭৫ সেন্টিমিটার। তবে তাঁর প্রেমিকার উচ্চতা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। ১৬৫ থেকে ১৭১ সেন্টিমিটারের মধ্যে উচ্চতা হওয়া প্রয়োজন সেই তরুণীর। চিনের প্রথম সারির ন’টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে যে কোনও একটি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পাশ করতে হবে লোউয়ের হবু প্রেমিকাকে। শুধু তা-ই নয়, ৭০ কেজি ওজনের তরুণ জানিয়েছেন, তাঁর প্রেমিকার চেহারা যেন ছিপছিপে হয় এবং সমাজে যেন সেই তরুণীর সুখ্যাতি থাকে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে শর্তে বদল আনতে পারেন লোউ।

তিনি জানান, সেই তরুণী যদি বিদেশি হন তবে সারা বিশ্বের প্রথম সারিতে যে ২০টি ইউনিভার্সিটি নাম লিখিয়েছে, সেই তালিকা থেকে যে কোনও একটি ইউনিভার্সিটির ছাত্রী হতে হবে তরুণের হবু প্রেমিকাকে। তবে কোনও তরুণীর পারিবারিক সম্পত্তি, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি কিছু কিছু শর্তে কাচি চালাতে পারেন বলে দাবি করেছেন লোউ। মেডিসিন অথবা আইন নিয়ে পড়াশোনা করলে সেই তরুণী তাড়াতাড়ি লোউয়ের মনের দরজার কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক। যদিও লোউ যে ইউনিভার্সিটিতে পড়ান সেখান থেকে জানানো হয়েছে যে এটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। কেউ লোউয়ের নামপরিচয় ব্যবহার করে সমাজমাধ্যমে এ সব লিখেছেন। লোউ নিজেও স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন