—প্রতীকী ছবি।
ঘড়িতে তখন রাত ১০টা বেজে পার হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকেই বার বার পাড়ার আইসক্রিম বিক্রির একটি দোকানে ঢুকছিলেন ৩২ বছরের মডেল কার্ট অ্যাকারম্যান। দোকানের এক মহিলা কর্মীর হাত জোরে চেপে ধরার কারণে সেখান থেকে বার করে দেওয়া হয় কার্টকে। পরে আবার সেই দোকানে প্রবেশ করেন কার্ট। বিনা অনুমতিতে আইসক্রিমের একটি টাব নিয়ে তার ঢাকনা খুলতে শুরু করেন তিনি। এমন আচরণের জন্য তাঁকে বার করে দেন দোকানের কর্মী। তৃতীয় বার আবার আইসক্রিমের দোকানে দেখা যায় কার্টকে।
দোকানে দৌড়ে ঢুকে পড়েন তিনি। পাঁচ কেজি ওজনের চকোলেট আইসক্রিমের একটি টাব চুরি করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। অভিযোগ, কার্টকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দোকানের ওই মহিলা কর্মীকে আঘাত করেন মডেল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের দাবি, দোকান থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে সারা শরীরে আইসক্রিম মাখা অবস্থায় কার্টকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দোকানের কর্মীর দাবি, পাঁচ কেজি ওজনের আইসক্রিম টাবের মূল্য ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ২৯ হাজার ৩০০ টাকা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অস্ট্রেলিয়ার অভিনেতা হিউজ শেরিডানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কার্টের। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। আইসক্রিম চুরির অপরাধে কার্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা চলাকালীন কার্ট জানান, বহু দিন ধরেই মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত মোট চার বার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে কার্টের দাবি। প্রতি মাসে তাঁকে একটি করে ইনজেকশনও নিতে হয় বলে জানান কার্ট।
দোকান থেকে আইসক্রিম চুরির পর তিনি ১০ থেকে ১২ গ্লাস মদ খেয়েছিলেন। অসুস্থ বোধ করার পর তিনি বমি করে ফেলেন। সেই অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে পড়েছিলেন কার্ট। পুলিশের দেখে মনে হয়েছিল, তিনি যেন গলে যাওয়া আইসক্রিমের ‘সমুদ্রে’ মাখামাখি অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন। কার্টের মানসিক পরিস্থিতি লক্ষ করে এই মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত।