air plane

অন্তিম শয্যায় মা, উড়ানে দেরি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন তরুণী! কী পদক্ষেপ করল বিমান সংস্থা

এ দিকে সময় পেরিয়ে যাওয়ার ডেল্টার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় মিনিয়াপোলিসের টিকিটটি হানার নামে পরদিন বুক করা হয়ে গিয়েছিল। যা দেখে কার্যত ভেঙে পড়েন তিনি। বিমানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন হানা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪১
Airline Company and its staffers helped woman say goodbye to her dying mother

—প্রতীকী ছবি।

মা মৃত্যুশয্যায়, শেষ কয়েক ঘণ্টা মায়ের সঙ্গে কাটাতে পারবেন না ভেবে বিমানে বসেই কেঁদে ফেলেছিলেন তরুণী। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেই বিমান ছাড়তে বিলম্ব হয়। তাঁর এই বিপদের সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে নজির তৈরি করল বিমান সংস্থা। এই ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই যাত্রীদের অকুণ্ঠ প্রশংসা কুড়িয়েছে বিমান সংস্থা ডেল্টা এয়ারলাইনস্‌। হানা হোয়াইট নামের এক তরুণী সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান বিমান সংস্থা কী ভাবে তাঁর মায়ের অন্তিম সময়ে পাশে থাকতে সাহায্য করেছিল। গত ৯ ডিসেম্বর সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে হানা জানান, তাঁর মা নিউমোনিয়ার কারণে হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য তিনি টেক্সাসের ডালাস শহর থেকে উত্তর ডাকোটার বিমানের টিকিট কাটেন। এই যাত্রার জন্য মাঝে মিনিয়াপোলিসে নেমে একটি সংযোগকারী বিমান ধরতে হত তাঁকে।

Advertisement

কিছু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে, তার প্রথম বিমানটি ডালাসের ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে আটকে থাকে। বিলম্বের কারণে মিনিয়াপোলিসের বিমানটি উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। মায়ের অন্তিম অবস্থায় পাশে না থাকতে পারার বেদনা হানাকে কুরে কুরে খেতে থাকে। এ দিকে সময়ে পেরিয়ে যাওয়ার ডেল্টার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় মিনিয়াপোলিসের সংযোগকারী বিমানের টিকিটটি হানার নামে পর দিন বুক করা হয়ে গিয়েছিল। যা দেখে কার্যত ভেঙে পড়েন তিনি। বিমানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন হানা। এই অবস্থায় তাঁকে শান্ত করতে এগিয়ে আসেন বিমানকর্মী। সব শুনে তিনি গোটা ঘটনা বিমানচালককে জানান। ডালাস থেকে বিমানচালক মিনিয়াপোলিস থেকে ডাকোটাগামী বিমানের চালককে তিনি অনুরোধ করেন। হানা সেখানে না পৌঁছনো পর্যন্ত বিমানযাত্রা স্থগিত রাখতে সম্মত হন দুই বিমানের চালক, কর্মী ও যাত্রীরা হানার অবস্থার কথা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ৩০ মিনিট মিনিয়োপোলিসে অপেক্ষা করে বিমানটি। বিমান সংস্থার সৌজন্যে অন্তিম সময়ে মায়ের পাশে থাকতে পেরেছিলেন হানা। যদিও পরদিন ভোরে মারা যান তাঁর মা। এই ঘটনা শুনে এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনাগুলি বিশ্বাস করায় যে, মানবতা এখনও বেঁচে আছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন