viral video

টাকা, গয়নার জন্য স্বামীকে চড়, লাথি স্ত্রীর! গোপন ক্যামেরায় নির্যাতনের দৃশ্য বন্দি করে পুলিশের দ্বারস্থ তরুণ

বিয়ের পর থেকে স্ত্রী, শাশুড়ি এবং শ্যালক টাকা এবং সোনার গয়না দাবি করা শুরু করেন বলে অভিযোগ। তরুণ এগুলি দিতে অস্বীকার করার পর থেকেই তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন শুরু হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৩
heated argument between a husband and wife

ছবি: সংগৃহীত।

খাটের এক ধারে জড়োসড়ো হয়ে বসে রয়েছেন এক যুবক। একের পর এক চড়-থাপ্পড় পড়ছে তাঁর গালে। তাঁর সামনে বসে রয়েছেন এক তরুণী। ওই যুবকের জামা ধরে মারধর করছেন আর এক তরুণী। গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই অকথ্য নির্যাতনের দৃশ্যটি। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে তা ভাইরাল হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের পান্নার। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অত্যাচারিত তরুণের নাম লোকেশ। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী, শাশুড়ি এবং শ্যালক টাকা এবং সোনার গয়না দাবি করা শুরু করে বলে অভিযোগ। লোকেশ এগুলি দিতে অস্বীকার করার পর থেকেই তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ২০ মার্চ ঘটেছে এবং সিসিটিভিতে তা ধরাও পড়েছে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, লোকেশের স্ত্রী তাঁকে একাধিক বার চড় মারছেন। এরই মাঝে লোকেশকে হাতজোড় করে স্ত্রী ও সামনে বসে থাকা মহিলার কাছে ক্ষমা চাইতেও দেখা গিয়েছে। এক সময়ে লোকেশের স্ত্রী স্বামীর গায়ের উপর উঠে তাকে নির্মম ভাবে মারতে থাকেন। অন্য মহিলা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলেও কোনও ফল হয়নি। উল্টে জামা টেনে লোকেশের মুখে লাথি মারতে শুরু করেন তিনি।

ঘটনার পর লোকেশ সাতনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরও জানান যে, স্ত্রীর নির্যাতনের সত্যতা প্রকাশ করার জন্য বাড়িতে একটি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। লোকেশ জানান যে, তিনি ২০২৩ সালের জুন মাসে হর্ষিতা রাইকোয়া নামে ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। লোকেশের দাবি, তিনি কোনও রকম যৌতুক ছাড়াই দরিদ্র পরিবারের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তবুও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে নির্যাতন করতেন।

ভিডিয়োটি দেখে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। অনেকের দাবি, ‘‘পক্ষপাতদুষ্ট আইনের বলে এ ভাবে অনেকে পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছেন।’’ অন্য অক জন লিখেছেন, ‘‘হয় সরকার লিঙ্গ-নিরপেক্ষ আইন আনুক, নয়তো অবিবাহিত থাকাই মঙ্গল’’ কেউ কেউ মানবাধিকার সংস্থাগুলির নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘মানবাধিকার কর্মীরা এখন কোথায়?’’

Advertisement
আরও পড়ুন