ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
প্যাকেটজাত খাবারের জিনিস নিয়ে সকল মানুষের মনেই হাজারো প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায়। বিশেষ করে সেই খাবার যখন ‘স্বাস্থ্যকর’ হওয়ার দাবি করে। প্যাকেটজাত ফলের রস সেই ‘স্বাস্থ্যকর’ গোত্রেরই একটি বস্তু। বহু মানুষ তাঁদের প্রতি দিনের ডায়েটে ফলের রস খান। কিন্তু সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের পাতায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটি দেখার পর সকলেই প্যাকেটজাত ফলের রস কিনে খাওয়ার আগে এক বার ভাববেন।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ফলের রস বানানোর যন্ত্রে গা এলিয়ে শুয়ে রয়েছে একটি সাপ। এক জন কর্মী আবার সেটিকে শান্ত ভাবে তুলে সরিয়েও দিলেন। দেখে মনে হল সাপ নয়, যেন দড়ি সরাচ্ছেন। এই রকমই শিহরণ জাগানো একটি ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা-ও ওই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়। ভিডিয়োটি দেখে সাপটি কী প্রজাতির সেটিও সঠিক ভাবে বোঝা যায়নি।
সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, একটি কারখানায় ফলের রস বানানো হচ্ছে। ফলের রস বানানোর যন্ত্রের উপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে অজস্র কালো আঙুর। সেই আঙুরের উপরই গা এলিয়ে শুয়ে রয়েছে একটি সাপ। সাপটিকে দেখামাত্র কারখানার এক জন কর্মী মেশিন থেকে ফল ছাটাই করার বড় হাতাটি নিয়ে এগিয়ে এলেন। সেটি দিয়ে ফলের উপরেই সাপটিকে চেপে ধরলেন। তার পর সাপটিকে টেনে মেশিন থেকে বার করে আনার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সাপটিও নাছড়বান্দা। যতই তাকে ফলের উপর থেকে সরিয়ে আনা হয়, ততই সে লাফিয়ে লাফিয়ে ফলের উপরে গিয়ে উঠে পড়ে। ও দিকে যন্ত্র তখনও চলছে। বার দু’য়েক সাপটি প্রায় যন্ত্রের ব্লেডের মধ্যে ঢুকে গেল। অবশেষে ওই কর্মী সাপটিকে বাগে আনলেন। লম্বা হাতাটির মাথার কাছটা দিয়ে মেশিনের ধারে সাপটিকে চেপে ধরে রেখে দিলেন। সাপটিও আর পালানোর সুযোগ নেই বুঝে শান্ত হয়ে গেল। কর্মী ও সাপের সেইই ‘ঠান্ডা লড়াই’য়ের ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
‘নাফিসজাদুন৫৯’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। পোস্টটিতে লাইক ও কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। নেটাগরিকদের একাংশ কর্মীর এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁদের একাংশ মনে করছেন এই ঘটনা হয়তো রোজকার, তার জন্যই কর্মীটি এত সহজে সাপটিকে সরিয়ে দিলেন। খাবারে এই ভাবে সাপ ঘুরে বেড়ানোর নিন্দা করেছেন তাঁরা।