ছবি: সংগৃহীত।
বৃদ্ধাশ্রমের এক অনুষ্ঠান থেকে প্রেম। সেই থেকে বিয়ে। পাত্র ও পাত্রী দু’জনেই শতায়ু। প্রেম বা বিয়ের জন্য বয়স যে কোনও বাধা হতে পারে না তা আরও এক বার প্রমাণ করে দিলেন ফিলাডেলফিয়ার এক যুগল। বার্নি লিটম্যান (১০০) ও মার্জোরি ফিটারম্যান (১০২) এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নবদম্পতি। ডিসেম্বরেই শতায়ু যুগলের মাথায় উঠেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের শিরোপা। দুজনের সম্মিলিত বয়স এখন ২০২ বছর।
সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, বার্নি আর মার্জোরি পূর্ব পরিচিত। কলেজে একসঙ্গে পড়াশোনা করলেও তখন তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল না। দু’জনেই নিজেদের মতো করে বিয়ে করে সংসারী হন। পেশায় বার্নি ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার। মার্জোরি ছিলেন শিক্ষিকা। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁদের দু’জনেরই বিবাহিত জীবনের সঙ্গীরা গত হয়েছেন। বার্নি আর মার্জোরি উভয়েরই নাতি-পুতি নিয়ে ভরা সংসার।
১০ বছর আগে শহরের বৃদ্ধাবাসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর বার্নি ও মার্জোরির মন দেওয়া নেওয়ার পর্ব শুরু হয়। তার পর তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করেন। অবশেষে এই শতায়ু যুগলের চার হাত এক হয় এই বছরের মাঝামাঝি। হুইল চেয়ারে বসে বাকি জীবন একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার করেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ এই দম্পতি। সেই বিয়ের ছবি সমাজমাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ইনস্টাগ্রামের পাতায় সেই বিয়ের ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। বার্নির পরিবারের সকলেই এতে অংশ নেন। ইহুদি বিয়ের রীতি মেনে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।