Manoj Mitra

‘ফেসবুকে লিখে হাওয়ায় বিখ্যাত হননি, মনোজ মিত্রের আরও সম্মান প্রাপ্য ছিল’

১৯৮৫ সালে নাটক লিখে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির সম্মান। পরে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণেও সম্মানিত হয়েছেন মনোজ মিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:২২
Advertisement

প্রয়াত মনোজ মিত্র। মঙ্গলবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮৬। প্রবীণ নাট্যকারের মৃত্যুতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল থিয়েটার। মনোজ মিত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “মঙ্গলবার সকালে অভিনেতা, নাট্যকার, পরিচালক ‘বঙ্গবিভূষণ’ মনোজ মিত্র প্রয়াত হয়েছেন। বাংলা থিয়েটারে তিনি ছিলেন অগ্রজ। নাটক এবং চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অনুরাগীদের আমার সমবেদনা।”

Advertisement

অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, দেহে সোডায়িম-পটাসিয়ামের ভারসাম্যহীনতা তো ছিলই। দুর্বল হয়ে পড়েছিল হৃদযন্ত্রও। মনোজ মিত্রের চিকিৎসায় তৈরি হয় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড। এ দিন সেই সব চেষ্টাই বিফল হয়। ১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় জন্ম। দেশভাগ কেড়ে নেয় ভিটেমাটি। চলে আসেন ভারতে। ১৯৫৮। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। গবেষণাও করেন মনোজ মিত্র। নাটকে অভিনয়ের শুরু ১৯৫৭। আর রূপোলি পর্দায় তাঁর প্রথম কাজ ১৯৭৯। তপন সিনহা পরিচালিত ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ মনোজ মিত্রের কালজয়ী ছবি।

১৯৮৫ সালে নাটক লিখে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির সম্মান। পরে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণেও সম্মানিত হয়েছেন মনোজ মিত্র। ভারতীয় নাট্য জগতের অবিসংবাদিত কিংবদন্তী। তাও আড়ালে, অগোচরেই থেকে গিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার শেষ শ্রদ্ধার জন্য রবীন্দ্র সদনে শায়িত রাখা হয় মনোজ মিত্রের শব। চির বিদায়ে দেওয়া হয় গান স্যালুট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement