DURGA PUJA 2023

‘এখনও প্রাণ আছে, চিকিৎসা করলে বেঁচে থাকবে মুর্শিদাবাদের শোলাশিল্প’

হাতির দাঁতের বিকল্প হিসাবে জন্ম নেওয়া শোলাশিল্পের ‘অপমৃত্যু’। ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের স্বপ্নে মুর্শিদাবাদ।

প্রতিবেদন: সৌরভ, চিত্রগ্রহণ: শুভদীপ, সম্পাদনা: বিজন

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মুর্শিদাবাদ শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৪৭
Advertisement

এক সময় হাতির দাঁতের বিকল্প ছিল শোলা। আর এই প্রাকৃতিক সম্পদকে সম্বল করেই শুরু হয়েছিল শিল্প। বিশেষ করে প্রতিমাসজ্জায় শোলার সাজ ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। ডাকের সাজ তৈরিতে মুর্শিদাবাদ অর্জন করেছিল বিশ্বখ্যাতি। সে সবই এখন অতীত। কাঁচামালের অপ্রতুলতা, যৎসামান্য চাহিদা, বাজারে মন্দা আর শিল্পীর অভাবে ‘অপমৃত্যুর’ পথে শতাব্দীপ্রাচীন শিল্প। মুর্শিদাবাদে আর তেমন শোলার সাজ গড়ার কারিগর নেই। পরিমল কর্মকার থেকে শুরু করে সমীরকুমার সাহার মতো রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরাও আর শোলার সাজ গড়েন না। বানান শোলার ‘শোপিস’। এখানে আবার আছে ‘মিডলম্যানের কমিশন’। যার ফলে ইচ্ছা থাকলেও শুধু শিল্পকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে পারছেন না শিল্পীরা। যেতে হচ্ছে অন্যত্র। সমাদর না পেয়ে নতুন প্রজন্মের হাতে ব্যাটন তুলে দিতেও তৈরি হয়েছে অনীহা। দুর্গাপুজোর সময় সাধারণত কাজে একটা মৃদু জোয়ার আসে। শোলার সাজ তৈরির বরাত থাকলেও বুলেন, থার্মোকলের কারণে সে বাজারও হাতছাড়া হচ্ছে। এ বছরই যেমন ছয় দশকে এই প্রথম শোলার কোনও সাজই গড়েননি শিল্পী পিন্টু দাস। এত নিরাশার পরও ভগ্নাংশের মতো বেঁচে আছে আশা। শিল্পীর কথায়, ‘এখনও প্রাণ আছে, চিকিৎসা করলে বেঁচে থাকবে শিল্প।’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সর্বশেষ ভিডিয়ো
Advertisement