স্বাধীনতার পর সংস্কার— ছাত্রদের এই দাবিকে সামনে রেখে রাষ্ট্র মেরামতির কাজে হাত দিয়েছেন অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস। গঠন করেছেন ৬টি কমিশন। তার মধ্যে একটি কমিশন সুনির্দিষ্টভাবে সংবিধান সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। বুধবার কমিশন তাঁদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গেই এ দিন অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টাকে রিপোর্ট দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনও।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের শীর্ষে অধ্যাপক ডঃ আলী রীয়াজ। এই কমিশনে রয়েছেন আরও ৮ সদস্য। লক্ষাধিক মানুষের জনমত নিয়েছেন। নিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলির মতামত এবং নাগরিক সমাজের সুচিন্তিত বক্তব্য। এ সবের উপর ভিত্তি করে, আলোচনা এবং পর্যালোচনার পর
ডঃ ইউনূসকে নিজেদের সুপারিশের কথা জানায় সংস্কার কমিশন। সেখানেই বাহাত্তরের সংবিধানে কাটছাঁটের কথা বলেন অধ্যাপক ডঃ আলী রীয়াজ। পুরনো যে নীতির উপর ভিত্তি করে সংবিধান রচনা করা হয়েছিল সেই চার নীতির মধ্যে তিনটিই বাতিল করার প্রস্তাব রয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে। সংবিধান সংস্কার কমিশন তাঁদের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতায় রাশ টানার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারি নাম বদলের প্রস্তাবও দিয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।