ভারতের বহু প্রাচীন বন্দর শহর হল বিশাখাপত্তনম। ছবি- পিক্সবে
বিয়ের পর দু’জনে প্রথম ঘুরতে যাবেন। সমুদ্র পছন্দ, কিন্তু দিঘা, পুরী বা গোয়া নয়। এ দিকে সঙ্গী আবার পাহাড়ে যেতে চান। একসঙ্গে পাহাড় আবার সমুদ্র, এমন ঘোরার জায়গা রয়েছে ভারতের দক্ষিণে। ভারতের বহু প্রাচীন বন্দর শহর হল বিশাখাপত্তনম। শোনা যায়, বিশাখা নক্ষত্রের নামানুসারে এই জায়গার নামকরণ হয় বিশাখাপত্তনম। তবে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এই পর্যটনকেন্দ্র ভাইজ়াগ নামেই পরিচিত। এই ভাইজ়াগকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এখানকার বিভিন্ন পর্যটনস্থল। রয়েছে পূর্বঘাট পর্বতমালার ঢালে অবস্থিত ঋষিকোন্ডা, পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর, নির্জন সৈকত।
এ ছাড়া আর কী কী দেখবেন?
ঋষিকোন্ডা সৈকত ধরেই অটো করে পৌঁছে যেতে পারেন রামকৃষ্ণ বিচ এবং ভীমা বিচ। স্নানের উপযোগী না হলেও এই সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে মন্দ লাগবে না। রামকৃষ্ণ বিচের পাশেই রাখা রয়েছে সাবমেরিন আইএনএস কুরোসওয়া। ডুবো জাহাজের ভিতরটা কেমন, তা টিকিট কেটে দেখে নিতে পারেন। সোমবার ছাড়া সব দিন খোলা থাকে।
রামকৃষ্ণ বিচের পাশে রয়েছে মৎসদর্শিনী। সমুদ্রের তলদেশে থাকা নাম না জানা, নানা রকম মাছেদের নিয়ে তৈরি মিউজিয়াম।
এখান থেকে রোপওয়ে করে ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়ের উপর অবস্থিত কৈলাসগিরি মন্দির থেকে। পাহাড়ের একেবারে উপরে পৌঁছে, সেখান থেকে অর্ধচন্দ্রাকৃতি সমুদ্রের অতিপ্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো।
একটা দিন হাতে রাখতে পারেন সীমাচলম মন্দির দেখার জন্য। সকাল সকাল রামকৃষ্ণ বীচ থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিন ভারতের একমাত্র নৃসিংহ দেবের মন্দির।
হাতে সময় থাকলে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন বোরা কেভসের উদ্দেশে। শহর থেকে একটু দূরে, তাই গোটা একটা দিন লেগে যাবে ঘুরে দেখতে। চুনাপাথরের গা চুঁয়ে জল পড়ে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয়েছে এই গুহা। দেখে তাক লেগে যাওয়ার মতোই। আরাকু ভ্যালি যাওয়ার পথেই পড়বে সুন্দর একটি আদিবাসী সংগ্রহশালা। আরাকু ভ্যালি যাওয়ার পথে যে মনোরম দৃশ্য চোখে পড়বে, তা ভোলার নয়।
কোথায় থাকবেন?
বিশাখাপত্তনমে থাকার অনেক জায়গা রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যটন বিভাগের হোটেলও রয়েছে। আগে থেকে সেগুলি বুক করে রাখতে পারলে ভাল। যদি সমুদ্রের কাছেই থাকতে চান, তা হলে ঋষিকোন্ডা বা রামকৃষ্ণ বিচের আশপাশে অনেক ধরনের হোটেল পেয়ে যাবেন।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেনে বিশাখাপত্তনম পৌঁছতে সময় লাগে ১৫ ঘণ্টার মতো। আগের রাতে ট্রেনে চেপে, পরের দিন সকালে পৌঁছে যাওয়া যায় বিশাখাপত্তনম। সেখান থেকে অটো করে বিচে পৌঁছতে সময় লাগে আধ ঘণ্টা।
এ ছাড়া আকাশপথেও কলকাতা থেকে বিশাখাপত্তনম যেতে পারেন। সময় লাগবে ঘণ্টা দুয়েক। সেখান থেকে অটোতে চেপে বীচের ধারে পৌঁছতে সময় লাগে আধঘণ্টার মতো।