বর্ষায় পাখি পাহাড়, জয়চন্ডী পাহাড়ের রূপ হয় চোখে পড়ার মতো। ছবি: শাটারস্টক।
প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘুরতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের তো পায়ের তলায় সর্ষে। এক এক ঋতুতে এক একটি জায়গার আলাদা আলাদা রূপ। সে হতে পারে পাহাড়ি বর্ষার মেঘ, হতে পারে ঘন জঙ্গলের বৃষ্টির শব্দ, আবার হতে পারে আষাঢ়-শ্রাবণের উত্তাল সমুদ্র। দু’দিনের ছুটি পেলেই লোটা-কম্বল নিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হল। কিন্তু যাব বললেই তো যাওয়া যায় না। কোথায় যাবেন, কী ভাবে যাবেন, সে সব পরিকল্পনা করতে হবে এই অল্প সময়ের মধ্যে। এ দিকে, ছুটিও তো বেশি দিনের নয়। তাই বেশি দূর যাওয়া যাবে না। ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসা যায় এমন তিনটি জায়গার সন্ধান রইল এখানে।
১) পুরুলিয়া
বর্ষার অপরূপ দৃশ্য যদি দেখতে চান, তা হলে এক বার ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়ার খয়রাবেড়া ড্যাম থেকে। রাস্তার পাশেই জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়। শাল, শিমূল, মহুয়া, আমলকি, পলাশ, পিয়াল, কুল, বেল গাছে ভরা জঙ্গলের মধ্য দিয়েই চলে গিয়েছে লাল মাটির চড়াই-উৎরাই রাস্তা। বর্ষায় এই রাস্তা ধরে হেঁটে যেতে মন্দ লাগে না। কাছাকাছি রয়েছে সীতাকুণ্ড, ময়ূর পাহাড়, মার্বেল লেক, বামনি ও টুর্গা ফল্স, চড়িদা গ্রাম, আপার ও লোয়ার ড্যাম, মুরগুমা লেক। চাইলে জয়চণ্ডি পাহাড় থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। শান্ত, স্নিগ্ধ এই পুরুলিয়া যেমন পলাশের জন্য বিখ্যাত, তেমনই বর্ষার জন্য।
২) কিরিবুরু-মেঘাতুবুরু
ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডের সীমান্তে অবস্থিত এই ছোট দু’টি জনপদ। এখানে মেঘ-বৃষ্টির খেলা চলতে থাকে প্রতিনিয়ত। শোনা যায়, ‘কিরি’ শব্দের অর্থ হাতি এবং ‘বুরু’ শব্দের অর্থ পাহাড়। মেঘতা নামটি মেঘ থেকেই এসেছে বলে মনে হয়। এখানে বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান তেমন না থাকলেও আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভুলতে পারা যায় না। দু’দিনের ছুটিতে দার্জিলিং ছাড়াও ছোট্ট দু’টি পাহাড়ি গ্রামে ঘুরে আসাই যায়।
৩) বগুড়ান জলপাই
সপ্তাহান্তের ছুটিতে সমুদ্রে যাবেন। কিন্তু দিঘা বা মন্দারমণি নয়। বর্ষার উত্তাল সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য দেখতে ঘুরে আসতেই পারেন বগুড়ান জলপাই থেকে। এখানকার শান্ত, নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের তেমন ভিড় নেই। এখানে রাত্রিবাস করে কাছাকাছি ঘুরে আসতে পারেন জুনপুট, বাঁকিপুট থেকে। আর সময় থাকলে অবশ্যই কপালকুণ্ডলা মন্দির ঘুরে আসবেন।