Weekend Destination

সপ্তাহান্তের ছুটিতে পাহাড়ে যাবেন? গন্তব্য হতে পারে ৩ অচেনা গ্রাম

দার্জিলিং বা কার্শিয়ঙের ভিড় এড়াতে অনেকেই খোঁজ করেন স্বল্প পরিচিত নিরিবিলি কোনও পর্যটনকেন্দ্র। শহুরে কোলাহল এড়িয়ে কয়েকটি দিন পাহাড়ে কাটাতে চান? আপনার জন্য রইল তিনটি অচেনা পাহাড়ি গ্রামের হদিস।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩ ১৮:৪৫
দার্জিলিঙের ভিড় এড়াতে যেতে পারেন ৩ পাহাড়ি গ্রামে।

দার্জিলিঙের ভিড় এড়াতে যেতে পারেন ৩ পাহাড়ি গ্রামে। ছবি: সংগৃহীত

গরম পড়লেই মনটা কেমন যেন পাহাড় পাহাড় করে! অল্প খরচে হিমেল স্বাদ উপভোগ করতে উত্তরবঙ্গের দিকে পা বাড়ান অনেকেই। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে দার্জিলিং বা কার্শিয়ঙের ভিড় এড়াতে অনেকেই কিছু খোঁজ করেন স্বল্প পরিচিত নিরিবিলি কোনও পর্যটনকেন্দ্র। শহুরে কোলাহল এড়িয়ে কয়েকটি দিন পাহাড়ে কাটাতে চান? আপনার জন্য রইল তিনটি অচেনা পাহাড়ি গ্রামের হদিস।

Advertisement
দাওয়াইপানি গ্রামটি থেকেই দেখতে পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।

দাওয়াইপানি গ্রামটি থেকেই দেখতে পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। ছবি: সংগৃহীত।

দাওয়াইপানি: দাওয়াইপানির অর্থ হল ঔষধি জল। ঘুম স্টেশন থেকে মিনিট কুড়ির দূরত্বের এই গ্রামের নামকরণ হয়েছে সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর থেকে। নদীটির জল নাকি নানা রকম খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। গ্রামের মানুষ ওই জল পান করেই নাকি রোগমুক্ত থাকেন। তবে রোগমুক্তি হোক না হোক, দাওয়াইপানিতে ছুটি কাটাতে গেলে চোখের আরাম হবেই হবে। গোটা গ্রামটি থেকেই দেখতে পাওয়া যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। স্পষ্ট দেখা যায় নামচির চারধাম। সূর্য ডোবার পর উল্টো দিকের পাহাড়ে দেখতে পাবেন অসংখ্য প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছে কেউ। ওগুলি আসলে প্রদীপ নয়, রাতের দার্জিলিঙের মনকাড়া ছবি ভাসে চোখের সামনে। কাছেই রয়েছে গ্লেনবার্ন, লামহাট্টা ও তাকদহ চা বাগান। চাইলে এক দিন গাড়ি করে ঘুরে নিতে পারেন দার্জিলিং শহরটাও।

পানবুদারা ভিউপয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ১৮০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়।

পানবুদারা ভিউপয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ১৮০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত।

পানবুদারা: কাঞ্চনজঙ্ঘাপ্রেমীদের কাছে বেড়ানোর অন্যতম গন্তব্য হতে পারে পানবুদারা। ৫,৫৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত নিরিবিলি এই পাহাড়ি গ্রামের পাদদেশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা তিস্তা। আর ঠিক উপরেই রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। পানবুদারা ভিউপয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ১৮০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। ভিউপয়েন্ট থেকে সাদা বরফে ঢেকে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্ত দেখা এক অনন্য অভিজ্ঞতা। সন্ধ্যা হলেই পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে জ্বলে উঠবে আলো। সেই নয়নাভিরাম দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি তো করতে পারবেন বটেই, চাইলে শুধুই দু’চোখ ভরে দেখে রেখে দিতে পারবেন মনের কুঠুরিতে। কাছেই রয়েছে চারখোল, ডেলো পাহাড়, দূরপিনদারা, ঝান্ডিদারার মতো জায়গা। ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারেন সেই সব জায়গা থেকেও।

দূর থেকে ইচ্ছেগাঁও দেখলে মনে হবে গ্রাম নয়, যেন খুব যত্ন নিয়ে ক্যানভাসে সুন্দর কোনও ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী।

দূর থেকে ইচ্ছেগাঁও দেখলে মনে হবে গ্রাম নয়, যেন খুব যত্ন নিয়ে ক্যানভাসে সুন্দর কোনও ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী। ছবি: সংগৃহীত।

ইচ্ছেগাঁও: কালিম্পং থেকে এই জায়গার দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। খুবই ছোট্ট গ্রাম। হাতেগোনা কয়েকটি কাঠের বাড়ি। রঙিন অর্কিড আর পাহাড়ি জংলা ফুলে রঙে রঙে ভরে উঠেছে চারদিক। দূর থেকে দেখলে মনে হবে গ্রাম নয়, যেন খুব যত্ন নিয়ে ক্যানভাসে সুন্দর কোনও ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী। এই গ্রামের উপর মাঝেমাঝেই নেমে আসে পেঁজা তুলোর হালকা মেঘ। লেপচা ভাষায় ‘ইচেগাঁও’ কথাটির অর্থ হল উঁচু গ্রাম। পাহাড়ের কোলে এই গ্রামের কোনও টিলার উপর দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই গ্রামের পূর্ব দিকে রয়েছে সিলারিগাঁও। উঁচু উঁচু পাইনের বন আর পাখিদের কলকাকলিতে পাহাড়ের কোলে হারিয়ে যেতে মন চাইলে এই এখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement