বিয়ের পর ‘উল্টো’ পথে। ছবি- সংগৃহীত
সঙ্গী যদি বলেন যে, জল উল্টো দিকে গড়ায়, নিজে চোখে না দেখে এমনি মেনে নেবেন? ভাবছেন তো এমন জায়গা ভূ-ভারতে আর কোথায় আছে? মহারাষ্ট্রের পুণেতে নাণেঘাট পর্বতমালায় রয়েছে এই জলপ্রপাত। বিজ্ঞানের সব সূত্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানে জল বয়ে যায় উল্টো দিকে। পুণে থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার এবং মুম্বই থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাণেঘাট ট্রেকিং জন্যও বেশ জনপ্রিয়। বিয়ের পর এমন বিস্ময়কর প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে, মধুচন্দ্রিমায় গন্তব্য হতেই পারে মহারাষ্ট্রের নাণেঘাট পর্বতমালা।
কী কী দেখবেন?
পুণের আশপাশে ঘোরার মতো অনেক জায়গা রয়েছে। তবে যদি শুধু ‘ট্রেক’ করার ইচ্ছা থাকে, সে ক্ষেত্রে অন্য কোথাও সময় নষ্ট না করাই ভাল। নাণেঘাট আসার পথে দেখে নিন লোনাভালা-খাণ্ডালা। কপাল ভাল থাকলে চোখে পড়তে পারে কোনও ছবি শুট করার দৃশ্য।
উল্টো জলপ্রপাত
নাণেঘাট পর্বত পৌঁছে যে পথ দিয়ে জলপ্রপাত দেখতে উঠবেন, তা অত্যন্ত মনোরম। তবে হাতে সময় রাখবেন, হেঁটে উঠতে কিন্তু ঘণ্টা চারেক সময় লাগে। যে রাস্তা ধরে আসবেন, সে পথ দিয়েই নাকি এক সময়ে ছত্রপতি শিবাজী যাতায়াত করতেন এমন ইতিহাস শুনতে পাবেন স্থানীয়দের মুখে।
ভিসাপুর-লোহাগড় দুর্গ
সহ্যাদ্রি পর্বতের লোনাভালা রেঞ্জে অবস্থিত এই দুর্গ। শোনা যায় খ্রিস্ট জন্মের পূর্বে রাজা ভোজের আমলে এই দুর্গ তৈরি করা হয়। লোহাগড়ের ঠিক বিপরীতে রয়েছে মহারাষ্ট্রের উচ্চতম দুর্গ ভিসাপুর। স্থানীয়রা একে লোহাগড়ের যমজ দুর্গ বলেই জানেন।
ভাজে গুহা
পাকদণ্ডী না হলেও এই পথে ট্রেকিং করতে মন্দ লাগে না। পথের শেষে দেখা মিলবে প্রায় দু’হাজার বছরের প্রাচীন এক গুহার। অতীতে এই পাহাড়ে সাতবাহন রাজাদের রাজত্ব চলত এখানে। গুহার গায়ে লেখা রয়েছে সেই সময়ের ইতিহাস। শোনা যায়, এই গুহাগুলি এক সময়ে বৌদ্ধ শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র ছিল।
কোথায় থাকবেন?
পুণেতে থাকার অজস্র জায়গা রয়েছে। তবে চাহিদা বেশি থাকায় ভাড়াও সারা বছরই বেশি থাকে। এ ছাড়া, নাণেঘাট পর্বতের আশপাশে মহারাষ্ট্র পর্যটন বিভাগের নিজস্ব হোটেলও রয়েছে। সেখানে থাকতে পারলেও ভাল লাগবে।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেনে পুণে পৌঁছতে সময় লাগে দু’দিন। সেখান থেকে গাড়িতে পৌঁছতে সময় লাগে ঘণ্টা সাতেক। পুণে থেকে বাসেও যাওয়া যায় নাণেঘাট।
আকাশপথে কলকাতা থেকে পুণে পৌঁছতে সময় লাগে ঘণ্টা তিনেক।