নিশ্চিন্তে সময় কাটানোর জন্য সেরা বিকল্প কিন্তু ‘রোড ট্রিপ’। প্রতীকী চিত্র।
সকাল আটটায় অফিসে ঢুকলেও বেরোনোর সময়ের কোনও ঠিক নেই। দিনের পর দিন বাড়ি থেকে অফিস আর অফিস থেকে বাড়ি, এই একই রুটিন চলছে। কাজের চাপে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর অবসরটুকু বার করা মুশকিল। শারীরিক ক্লান্তির থেকেও কোথাও যেন তৈরি হচ্ছে মানসিক ক্লান্তি। এই সমস্যা আপনার একার নয়, কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই এমন সমস্যার মুখোমুখি।
কাজের চাপের মাঝে যে লম্বা ছুটি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাবেন, সেই উপায়ও নেই। তবে সপ্তাহান্তে পরিবারের সঙ্গে একটি গাড়ি নিয়ে লম্বা সফরে বেরিয়ে পড়লে কেমন হয়? হাতে সময় কম অথচ শহুরে কোলাহল থেকে বেরিয়ে পরিবারের সঙ্গে নিশ্চিন্তে সময় কাটানোর জন্য সেরা বিকল্প কিন্তু ‘রোড ট্রিপ’।
তবে গাড়ি করে লম্বা সফরে বেরোতে গেলে আগে থেকে বেশ কিছু পরিকল্পনা না করলে কিন্তু বিপাকে পড়তে হতে পারে। জেনে নিন, এমন পরিকল্পনার আগে তালিকা করে কী কী খতিয়ে দেখে নেবেন।
স্থান নির্ধারণ: গাড়িতে সফরের জন্য কাছেপিঠে একটা ভাল জায়গা কিংবা রিসর্ট নির্বাচন করুন। খুব দূরের কোনও স্থান বেছে নিলে শারীরিক ধকল অনেক বেশি হয়ে যাবে। তা মোটেই কাম্য নয়। দু’ থেকে তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে একটা মনোরম জায়গায় গেলেন। সেখানে বেশ খানিকটা সময় কাটালেন, আবার ফিরে এলেন। মাঝেমধ্যে এমন পরিতৃপ্তিও দরকার।
গাড়ি নির্বাচন: যে গাড়িতে করে যাচ্ছেন, সেটা যেন আরামদায়ক হয়, সে দিকেও নজর দিতে হবে। অনেকে মিলে এক গাড়িতে চড়ে বসলেন, শেষমেশ কারও কোমরে ব্যথা, কারও পায়ে ব্যথার সমস্যা হবেই। তাই লোক বুঝে বড় গাড়ি নেওয়াই শ্রেয়। গাড়িতে চড়ার আগে তাতে কোনও সমস্যা আছে কি না, যাচাই করে নিতে ভুলবেন না। না হলে মাঝরাস্তায় বিপাকে পড়বেন।
কাগজপত্র: গাড়ির কাগজ, পরিচয়পত্র, টিকার সংশাপত্র এবং কোভিড পরীক্ষার প্রমাণ অবশ্যই রাখবেন। রাস্তায় যে কোনও সময় পুলিশ যাচাই করে দেখতে পারে। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার নিয়মকানুন আগে থেকে ভাল করে জেনে নেবেন।
মনোরঞ্জনের সরঞ্জাম: গাড়িতে যেতে যেতে পছন্দের গান চললে মন্দ লাগবে না। সে ক্ষেত্রে আগে থেকে গানের তালিকা তৈরি করে রাখুন। শিশুদের জন্য ব্যাডমিন্টন, বল, ক্রসওয়ার্ড পাজ়লের মতো কিছু খেলার সমাগ্রী সঙ্গে রাখুন।
খাবার: পথে কোন জায়গা গাড়ি দাঁড় করিয়ে খাওয়া যাবে, জল কেনা যাবে, ভাল ধাবা বা রেস্তরাঁ পড়বে, তা ভাল করে আগে থেকে দেখে ঠিক করে নেবেন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার রাখুন। ফ্লাস্কে চা-কফি নিতে পারেন সফর শুরুর জন্য। পোর্টেবল চিলার বক্সও সহজেই পাওয়া যায়। ঠান্ডা ফলের রস বা সোডা নিয়ে নিতে পারেন সফরের জন্য।