নতুনদের জন্য আদর্শ তিনটি ট্রেক ছবি: সংগৃহীত
ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে ট্রেকিংয়ের জনপ্রিয়তা। রোমাঞ্চের খোঁজে প্রতি বছরই বহু মানুষ ছুটে যান অপেক্ষাকৃত দুর্গম বিভিন্ন পাহাড়ি পথে। তবে যাঁরা আগে কোনও দিন এই ধরনের ভ্রমণে যাননি তাঁদের পক্ষে প্রথম ট্রেকটি স্বাভাবিক ভাবেই একটু বেশি কঠিন মনে হতে পারে। তাই প্রথম বার ট্রেকে যেতে চাইলে সহজ কিছু পথে শুরু করাই বিচক্ষণতার পরিচয়। রইল তেমনই তিনটি ট্রেকের হদিশ।
হাম্পতা পাস ট্রেক
১। উচ্চতা: ১৪১০০ ফুট
২। সময়কাল: ৪-৫ দিন
৩। ভ্রমণের আদর্শ সময়: জুন থেকে সেপ্টেম্বর
হাম্পতা পাস ট্রেক নতুনদের জন্য সেরা হিমালয়ান ট্রেক হিসেবে পরিচিত! সহজ চড়াইয়ের এই ট্রেকে দেখা যাবে নৈসর্গিক লাহৌল এবং কুল্লু উপত্যকা। আঁকা বাঁকা পথে পেরিয়ে যেতে হবে আলপাইন বন ও হিমবাহের দৃশ্য। হাম্পতা পাস ট্রেক সেরে অনেকে চলে যান চন্দ্রতাল। রুক্ষ পর্বতের মধ্যে নীল জলরাশির এই হ্রদ মনে করিয়ে দেবে লাদাখের কথা।
সন্দাকফু ট্রেক
১। উচ্চতা: ১১৯৪১ ফুট
২। সময়কাল: ৬ দিন
৩। ভ্রমণের আদর্শ সময়: সারা বছর
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত সন্দাকফু পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ অঞ্চল। ৬ দিনের এই ট্রেকে চলতে চলতে আলাপ হয়ে যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোটসে এবং মাকালুর সঙ্গে। যেহেতু সারা বছরই এই ট্রেকে যাওয়া যায় তাই ঋতুভেদে এক এক সময় এক এক রকম সাজে সেজে ওঠে ট্রেকের পথ। মিলবে তুষার-ঢাকা শিখর এবং চিরহরিৎ বনের বিপরীত দৃশ্যও। এই ট্রেকের পথেই রয়েছে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান। এখানে রেড পান্ডার মতো বিরল প্রজাতির পশু ও হরেক রকমের পাখি দেখতে পাওয়া যায়। প্রস্ফুটিত রডোডেনড্রন এবং ম্যাগনোলিয়াও কেড়ে নেবে মন।
কেদারকণ্ঠ ট্রেক
১। উচ্চতা: ১২৫০০ ফুট
২। সময়কাল: ৬ দিন
৩। ভ্রমণের সেরা সময়: ডিসেম্বর থেকে জুন
কেদারকণ্ঠ গোটা ভারতবর্ষের সবচেয়ে নয়নাভিরাম ট্রেকগুলির মধ্যে অন্যতম। উত্তরাখণ্ডের এই ট্রেকটির পথে দেখতে পাবেন হিমালয়ের অবিশ্বাস্য রূপ। অথচ খুব একটা কঠিনও নয় ট্রেকটি। বিশেষ করে শীতকালীন ট্রেক হিসেবে কেদারকণ্ঠ বেশ জনপ্রিয়। দেরাদুন থেকে ৭ ঘণ্টা দূরে অবস্থিত সাঙ্করি গ্রাম থেকে সাধারণত শুরু হয় ট্রেকটি। বসন্তে গেলে পাইন বন ও বুনো ফুলের গন্ধে ম ম করবে পথ। আর শীতে গেলে চারপাশ আপাদমস্তক ঢাকা থাকবে বরফে।