মিষ্টি ওয়াকের জন্য উত্তর কলকাতাকে রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। ছবি: শাটারস্টক।
শীত প্রায় শেষের পথে। চলে গিয়েছিল বললেও ভুল হবে না। তবে আবার খানিকটা হলেও ফিরে এসেছে শীতের আমেজ। সকালের ঠান্ডা হিমেল হাওয়া, চারদিকে যেন ছুটি ছুটি আমেজ। এটুকু চলে গেলেই সব শেষ। শীতকালকে বিদায় জানাতে হাতে আর খুব বেশি দিন বকি নেই। তাই শীত চলে যাওয়ার আগে চুটিয়ে উপভোগ করে নিলে কেমন হয়? এই সময়ে কী কী করা যায়, রইল তার হদিস।
১) শীতকাল বিদায় মানেই পিঠে, পুলি, পাটিসাপটা আর মিলবে না। মিলবে না নলেন গুড়ের অনবদ্য স্বাদ। তাই কোনও এক ছুটির দিনে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন ‘মিষ্টি ওয়াক’-এ। সঙ্গে আরও বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে নিলেও মন্দ লাগবে না। মিষ্টি ওয়াকের জন্য উত্তর কলকাতাকে রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। হেদুয়ার গিরিশ চন্দ্র দে অ্যান্ড নকুর চন্দ্র দে, শ্যামবাজারের হরিদাশ মোদক, শোভাবাজারের নবীন চন্দ্র দাস, কলেজ স্কয়ারের পুটীরাম— এই সব দোকানে ঢুঁ মেরে আসতে ভুলবেন না যেন।
২) ঘোরার জন্য আদর্শ শীতের মরসুম। শীত থাকতে থাকতেই খুদেদের নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন নিউ টাউন চত্বরে। পরিবারের সঙ্গে একটা ছুটির দিন কাটাতে নিউ টাউন এলাকাকে রাখতেই পারেন নিজের পছন্দের তালিকায়। গ্রন্থাগার, রেস্তরাঁ, উদ্যান, সংগ্রহশালা, সঙ্গে পেটপুজোর নানা আয়োজন এখানে। কলকাতার রাজারহাট, নিউ টাউন যেন শহরের মধ্যেই এক অন্য জগৎ। ইকো পার্ক, ওয়াক্স মিউজ়িয়াম, নজরুল তীর্থের অন্দরে নিউ টাউন লাইব্রেরি, অ্যাক্সিস মলের ভিতরে স্নো পার্ক— রয়েছে বিনোদনের একাধিক ব্যবস্থা। কেবল ঘুরুঘুরু নয়, নিউ টাউনে গেলে মিষ্টি হাব, কফি হাউস ছাড়াও রয়েছে একাধিক রেস্তরাঁও। পরিবারের সঙ্গে সুন্দর একটা দিন কাটিয়ে ফেলুন শীত থাকতে থাকতেই।
৩) বই পড়তে ভালবাসেন? তা হলে বইমেলা মিস করা যাবে না! ১২ তারিখ পর্যন্ত সল্টলেকে চলছে বইমেলা। সময় করে এক বার ঘুরেই আসুন বইমেলা থেকে। বই কেনা, খাওয়াদাওয়া, হইহুল্লোড়, সব মিলিয়ে দিনটা কখন যে কেটে যাবে, বুঝতে পারবেন না।
৪) রোজের কর্মব্যস্ত জীবনের একঘেয়েমি কাটতে শহরের মধ্যেই কিংবা কাছেপিঠে পরিবারের সঙ্গে শীত থাকতে থাকতে একটা ‘স্টেকেশন’ করে নিলে কেমন হয়? বৈদিক ভিলেজ, রাজকুঠীর, ভুবনবাড়ির মতো একাধিক রেসর্ট রয়েছে শহরের নানা প্রান্তে। নিজের পছন্দের একটা জায়গা বুক করে নিলেই হয়।
৫) শীতকাল মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। ছুটির দিনে এক দিন সময় হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন শহরের স্ট্রিট ফুড উপভোগ করতে। নিউ মার্কেট এলাকার নিজামের বিখ্যাত কাঠি রোল হোক কিংবা বাগবাজারে গণেশদার বিখ্যাত মাছের কচুরি, টেরিটি বাজারের চিনা ব্রেকফাস্ট হোক বা ফুলবাগানে ভিআইপি মার্কেটের পিছনে চিজ় বড়া পাও— যা যা চেখে দেখার সুযোগ হয়নি এক বার, শীত থাকতে থাকতে ভাল করে পেটপুজো করে নেওয়াই যায়! ডায়েটের জন্য তো সারা বছরই পড়ে রয়েছে!