নানা মরসুমে সিকিমের নানা রূপ। ছবি: শাটারস্টক।
বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ অন্যান্য তুষারশৃঙ্গের চোখধাঁধানো রূপ, উচ্ছল নদী ও ঝর্না, অর্কিড ও ফুলের সমাহার, রংবেরঙের পাখির আনাগোনা, অরণ্যের নিস্তব্ধতা— প্রকৃতির এক অপরূপ রূপ দেখার জন্য প্রতি বছর বাঙালিরা সিকিমে গিয়ে ভিড় করেন। পরিসর অল্প হলেও সিকিমে দর্শনীয় জায়গা অসংখ্য। এক যাত্রায় সব কিছু দেখা প্রায় দুঃসাধ্য। সারা বছর ধরেই এই রাজ্যে লেগে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। তবে এই রাজ্যে ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময় ঠিক কোনটি?
গরমের সময় সিকিম ঘুরতে হলে সেরা সময় হল মার্চ থেকে মে মাস। আর শীতকালীন ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস হল আদর্শ সময়। মার্চ থেকে মে সিকিমে পাবেন বসন্তের আমেজ, মনোরম আবহাওয়া, যে দিকে চোখ যাবে, সে দিকেই রঙিন ফুলের সমারোহ। মার্চের শেষ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত থাকে রডোডেনড্রনের মরসুম। উজ্জ্বল লাল ফুলের সৌন্দর্য দেখতে ঘুরে আসতে পারেন ইয়ুমথাং ভ্যালি এবং বার্সে রডোডেনড্রন অভয়ারণ্য থেকে। বছরের এই সময়ে আকাশ তুলনামূলক ভাবে পরিষ্কার থাকে, তাই কাঞ্চনজঙ্ঘার ঝলক দেখতে পাওয়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। সিকিমের ঠান্ডা উপভোগ করতে চাইলে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস সেরা সময়। এই সময় সিকিমে বিভিন্ন উৎসবও হয়। রেড পান্ডা উইন্টার ফেস্টিভ্যাল, টেমি টি অটাম চেরি ফেস্টিভ্যাল— আরও কত কী! এ ছাড়া বরফে ঘেরা পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখলে আপনার চোখ জুড়োবে।
নাথু লায় যাওয়ার সেরা সময় কোনটা?
নাথু লা দেখার সেরা সময় হল এপ্রিল এবং জুনের মাঝামাঝি কিংবা অক্টোবর এবং নভেম্বরের মধ্যে। এই সময়ের নাথু লার তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া ঘোরার জন্য আদর্শ। আকাশ থাকে পরিষ্কার, পাহাড়ের স্বাদ উপভোগের জন্য যা সবচেয়ে ভাল।
কখন যাবেন না?
বৃষ্টির মরসুমে ধসের ঝুঁকির কারণে সিকিমে না যাওয়াই ভাল। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সিকিমে ভারী বর্ষণ হয়। এই সময় পাহাড়ি রাস্তায় ভ্রমণ করতে হলে বিপদের ঝুঁকি থাকে। তবে ওই সময় হোটেল ভাড়া অনেকটাই কম থাকে।
বরফপাত দেখতে হলে কখন যাবেন সিকিমে?
সিকিমে গিয়ে বরফ চাই? তা হলে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস সেরা সময়। এই সময়ে সেখারকার তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নীচে নেমে যায়, চারদিক বরফের চাদরে ঢেকে যায়। গুরুদোংমার, চোলামু এবং ছাঙ্গুর মতো হ্রদগুলি এই সময় জমে যায়। দীর্ঘ রোপওয়ে রাইড থেকে তুষারঢাকা পাহাড়ের দৃশ্য দেখার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সময়।