বিয়ের আগে কোন নিয়মে ওজন ঝরাবেন দ্রুত? ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের আগে ওজন কমিয়ে রোগা হতে চান অনেকেই। তার জন্য পরিশ্রমও কম করেন না। জিমে যাওয়া, মেপে খাওয়াদাওয়া করা, হাঁটাহাঁটি, দৌড়নো— বিস্তর চেষ্টার পরেও ওজন যে কে সেই! কিংবা কমলেও তা চোখে পড়ার মতো কিছু নয়। ওজন কমানোর এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তখন অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালের কয়েকটি কাজের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রোগা হওয়ায় মন্ত্র। জেনে নিন, ভুঁড়ি কমাতে হলে কোন কোন অভ্যাস দ্রুত শুরু করতে হবে।
১) সকাল শুরু করুন দ্রুত: সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা নিয়ে বলা বাহুল্য। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৮ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে নির্দিষ্ট সময় ধরে শরীরচর্চা করা যায় না। ভেবেচিন্তে স্বাস্থ্যকর জলখাবার বানানোও হয়ে ওঠে না। তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়লে সময় নিয়ে ব্যায়াম, প্রাতরাশ, সবই নিয়মমাফিক হয়।
২) সকালে ওজন মাপুন: সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট পরিষ্কার করে জল, চা, কফি কিংবা ওষুধ খাওয়ার আগেই ওজন মাপা উচিত। ওই সময়ে ওজন মাপলে অপাচ্য খাদ্যের বাড়তি ওজন দেখায় না যন্ত্রে। এই ভাবে ওজন মাপলে দেহের বাড়তি ওজন দেখার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সকাল সকাল যদি দেখেন, আপনার ওজন কমেছে, তা হলে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হবেন, মানসিক ভাবেও চাঙ্গা হবেন।
৩) এক গ্লাস হালকা গরম জল: এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে সকাল শুরু করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে, রোগা হতে চাইলে গরম জল বেশ কার্যকর। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বার করে দিতে গরম জলের জুড়ি মেলা ভার। হজমের উন্নতিতেও দারুণ সাহায্য করে গরম জল।
৪) জলখাবারে প্রোটিন: ওজন কমানোর সময়ে অনেকেই প্রোটিন ঠিক মতো খান না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভরপুর প্রোটিন আছে, এমন খাবার অনেক ক্ষণ পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কম থাকে। অনেক ক্ষণ ধরে শরীরচর্চা করার শক্তিও জোগায় উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার।
৫) শরীরচর্চা: ওজন কমানোর অন্যতম অস্ত্র। রোগা হতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। এর বিকল্প কিছু নেই। জিমে হোক বা বাড়িতে, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে হবে। সকালের দিকে শরীরচর্চা করে নিলে তা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় বেশি প্রভাব ফেলে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।