প্রতীকী ছবি
ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই লেপ-কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘরে থাকতে পছন্দ করেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু পাশাপাশি অনেকেই রয়েছেন যাঁদের আবার কম ঠান্ডায় মন ভরে না একেবারেই। অথচ অনেকেরই মনে করেন যে তুষারপাত উপভোগ করার জন্য দেশের বাইরে ব্যয়সাপেক্ষ ভ্রমণের কথা ভাবা ছাড়া গতি নেই। এই ধারণা আগাগোড়াই ভুল। শীতকালে দরজার বাইরে পা দিয়েই বরফের রাজ্যে হারিয়ে যেতে চান যাঁরা, তাঁদের জন্য রইল এই দেশেই কিছু মনোরম গন্তব্যের সন্ধান।
কুলু
ঠান্ডার সময়ে কুলু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হতে পারে রীতিমতো স্বর্গীয়। বিশেষ করে হিমাচল প্রদেশের অপূর্ব তুষারপাতের দৃশ্য দেখার উত্সাহ থাকলে কুলুই হওয়া উচিত আপনার প্রথম পছন্দ। ভারতবর্ষের এই অঞ্চলটিতে শীতকালে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডা পড়ে। সেই অনুযায়ী সরঞ্জামও কিন্তু সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।
গুলমার্গ
ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে গুলমার্গ মন্ত্রমুগ্ধ করে দিতে পারে আপনাকে। হিমালয়ের পশ্চিমাংশের পীর পাঞ্জাল পর্বতশ্রেণির কাছে অবস্থিত গুলমার্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মাঝেমাঝে থাকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এই অঞ্চলে বরফের মধ্যে স্কিয়িং করার ভরপুর আনন্দ আপনার অভিজ্ঞতা স্মরণীয় করে রাখতে পারে।
আলমোড়া
উত্তরাখণ্ডের একটি সেনাছাউনিপ্রধান শহর আলমোড়া। অভিজ্ঞ মানুষজন বলেন এই অঞ্চল থেকে নাকি শীতকালে তুষারাবৃত হিমালয়ের অনন্য এক রূপ দেখা যায়। পাইন এবং ওক গাছ দিয়ে ঘেরা এই শহর সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য বিখ্যাত। চিতুই এবং নন্দাদেবীর মতো মন্দিরগুলি আলমোড়ার বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র।
পরাশর হ্রদ
হিমালয় পর্বতমালার কাছে শীতকালে বরফ পড়ার দৃশ্য দেখতে চাইলে যেতে পারেন পরাশর হ্রদ সংলগ্ন এলাকায়। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে এই হ্রদ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যথেষ্ট উচ্চতায় অবস্থিত এবং এইখান থেকে আশেপাশের পর্বতশ্রেণির সৌন্দর্যও হয় দেখার মতো।
তাওয়াং
ষষ্ঠ দালাই লামার জন্মস্থান অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রও বটে। এই অঞ্চল ঘুরে দেখার সেরা সময় ডিসেম্বর-জানুয়ারি। বিশেষ করে যদি আপনি তুষারপাত উপভোগ করতে চান।
কিন্নর
সিমলা থেকে ২৩৫ কিলোমিটার দূরে এই অঞ্চলের প্রকৃতিক সৌন্দর্য সারা বছরই পর্যটকদের সারা পৃথিবী থেকে টেনে আনে। শীতকালে তো বটেই, এমনকি গ্রীষ্মকালেও এই এলাকায় পর্বতশৃঙ্গে বরফের দেখা মিলবে।