মুরুগুমা ছবি: সংগৃহীত
শীতের ছুটি এমনিতেই অল্পদিনের, তার উপর কোভিডকালে পকেটের অবস্থাও তথৈবচ। কাজেই পায়ের তলায় সর্ষে থাকলেও বেড়াতে যেতে চাইলে আজকাল চোখে সর্ষে ফুল দেখাই দস্তুর। কিন্তু তাই বলে কি বাঙালির ভ্রমণ বন্ধ থাকবে? মোটেই না। আসুন দেখে নেওয়া যাক কাছাকাছি এমন কিছু পর্যটনস্থল, যা একঘেয়েমি কাটাবে, আবার স্বাস্থ্যকর হবে পকেটের পক্ষেও—
১। তাকদা-লামাহটা: বাঙালি হয়ে দার্জিলিঙের মায়া ত্যাগ করা সহজ নয়। কিন্তু স্বাদবদলের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে দার্জিলিঙের কাছেই একাধিক স্বল্প পরিচিত কয়েকটি পর্যটনস্থল। সবুজ পাইনে ঘেরা নির্জন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে সম্প্রতি বেশ পরিচিতি পেয়েছে তাকদা ও লামাহটা। নির্জন হলেও আধুনিক জীবনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বিছিন্ন নয় এই স্থানগুলি। থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোম স্টে।
২। ঝিলিমিলি: মুকুটমণিপুর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে, ঝিলিমিলি বাঁকুড়ার একটি জঙ্গল পরিবেষ্টিত পর্যটনস্থল। শাল-পিয়ালের ঘন জঙ্গলের নিবিড় কুহকের মাঝে নিশ্চিন্তে কয়েকটি দিন কাটিয়ে আসার জন্য একদম উপযুক্ত স্থান ঝিলিমিলি। সবুজের মাঝেই রয়েছে সুতান হ্রদ ও তালবেরিয়া জলাধার। জঙ্গলয়ের মধ্যে রয়েছে একাধিক হাতি চলাচলের রাস্তা। ভাগ্য ভাল থাকলে দেখা মিলতে পারে হাতি, ময়ূরের মতো একাধিক বন্যপ্রাণীর।
৩। মুরুগুমা: পুরুলিয়ার অভ্যন্তরে এই স্থানটি এত কাল অবহেলাতেই পড়ে ছিল। কিন্তু শীত ও বর্ষায় এর মতো মোহময় রূপ বঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে বিরল। মুরুগুমার মূল আকর্ষণই হল সহজঝোরার বিশাল জলাধার। থাকার জন্য এখানে রয়েছে একাধিক রিসর্ট। রাতে আগুন জ্বালিয়ে স্থানীয় লোকসংস্কৃতির স্বাদ নিতে পারলে তা সারাজীবন মনে রাখার মতো একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে শীতে কিন্তু বেশ ঠান্ডা পড়ে এখানে, তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে পাঁচ ডিগ্রির কাছাকাছি।
৪। মৌসুনি দ্বীপ: পাহাড় বা জঙ্গলের বদলে যাঁদের পছন্দ সমুদ্র, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন মৌসুনি দ্বীপ। সম্প্রতি প্রচারের আলোয় এলেও এখনও দিঘা-মন্দরমণির থেকে লোক কম থাকে এখানে। তবে বন্ধুদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে কাটাতে গেলে এটিই হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য। সমুদ্রের পাশে তাঁবু খাঁটিয়ে থাকার অভিজ্ঞতা কিন্তু বেশ রোমাঞ্চকর হতে পারে। এখান থেকে গঙ্গা ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা দেখা যায়। এ ছাড়াও এখান থেকে নৌকা করে চলে যেতে পারেন জম্বু দ্বীপ। সে আর এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।