মেঘালয়ের ক্র্যাং সুরি জলপ্রপাত থেকে তৈরি জলাধারে করা যায় স্নান। ছবি: সংগৃহীত।
প্রবল গরমে ডাকছে কি পাহাড়? মন চাইছে খোলা আকাশ, সবুজ ঘাস। মনে হচ্ছে শৈশবের মতো জলে ঝাঁপিয়ে দামালপনা করলে দিব্যি হত! তা হলে চলুন প্রকৃতির ‘সুইমিং পুল’-এ জলকেলি করতে।
সিনেমায় দেখা লাস্যময়ী নায়িকার মতো আপনিও সঙ্গীর সঙ্গে শীতল জলে অবগাহন করতে পারবেন সেখানে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রকৃতির কোলে রয়েছে এমন কিছু জায়গা, যেখানে সরাসরি ঝর্না জলে তৈরি জলাশয়ে স্নান করে নেওয়া যায়। উপভোগ করা যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
১. কেম্পটি জলপ্রপাত, উত্তরাখণ্ড
সাড়ে চার হাজার ফুট উঁচু থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে ঝর্না। পাহাড়ের খাতে সেই জল জমে তৈরি হয়েছে জলাশয়। উত্তরাখণ্ডের মুসৌরির কেম্পটি জলপ্রপাতে স্নানের আনন্দই আলাদা। অসংখ্য পর্যটক এখানে ভিড় করেন। শুধু কেম্পটি জলপ্রপাত নয়, শৈল শহর মুসৌরির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও মনকাড়া।
২. দুধসাগর, গোয়া
সুবজ পাহাড়ের বুকে এই জলধারা যখন নেমে আসে দূর থেকে দেখলে মনে হয় দুধের ধারা। তার থেকেই গোয়ার এই জলপ্রপাতের নাম দুধসাগর। দুধসাগরের একেবারে গা দিয়েই গিয়েছে রেল লাইন। ট্রেনে বসে একদম কাছ থেকে দুধসগারের জলধারা উপভোগ করা যায়। আর উপভোগ করা যায় দুধসাগরের জলে অবগাহন। পাহাড়ের কোলে টলটলে জল। প্রাকৃতিক এই স্নানাগারের টানে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন পর্যটকরা।
৩. ক্র্যাং সুরি জলপ্রপাত, মেঘালয়
শিলং থেকে ঘণ্টা তিনেকের দূরত্বে জয়ন্তিয়া পাহাড়ে রয়েছে এই জলপ্রপাত। একাধিক বলিউড ছবির শুটিং হয়েছে এখানে। মেঘালয়ের এই জলপ্রপাত থেকে তৈরি হয়েছে সুন্দর একটি জলাধার। চার দিকে ঘন সবুজ পাহাড়। তার মধ্যে স্বচ্ছ জলের এই স্নানাগারে মনের আনন্দে সাঁতার কাটতে পারেন। এখানে স্নানের সময় লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক। সিঁড়ি দিয়ে অনেকটা নামতে হয় প্রাকৃতিক সুইমিং পুলে যাওয়ার জন্য।
৪. কাকসাং জলপ্রপাত, অসম
অসমের বোকাখাট থেকে দূরে রয়েছে ছবির মতো সুন্দর এই জলপ্রপাত। অনেক উঁচু থেকে নেমে আসছে ঝর্না। সশব্দে আছড়ে পড়ছে নীচে। সেই জল জমা হচ্ছে পাহাড়ের মধ্যে এক জায়গায়। স্নানের পাশাপাশি এই জায়গাটি স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় পিকনিক স্পটও। তবে প্রবল বর্ষায় জলস্রোত খুব বেশি থাকলে এখানে স্নান করাটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।