কম খরচে বালিতে বিদেশ-বিভুঁইয়ের সুযোগ। ছবি: সংগৃহীত।
ইন্দোনেশিয়া অর্থাৎ দ্বীপের দেশ। গোটা দেশটি জুড়ে রয়েছে ১৭,০০০ -এরও বেশি দ্বীপ। আর ইন্দোনেশিয়ার কথা বললে, প্রথমেই যে জায়গার কথা মনে পড়ে, সেটি হল বালি। বালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, সেখানকার মন্দির, অধিবাসী, তাঁদের সংস্কৃতি ও জীবনপদ্ধতি মন কাড়বে আপনার। সারা বছর ধরেই বালিতে পর্যটকেরা ভিড় করেন। এই এলাকা ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হয়েছে।
সমুদ্র যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের কাছে বালির বিকল্প খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ওয়াটার অ্যাডভেঞ্চারের অন্যতম সেরা ঠিকানা এই বালি। গোটা দ্বীপ জুড়ে প্রায় ২৮০-রও বেশি প্রজাতির পাখি দেখা যায়। আপনার ভাগ্য ভাল থাকলে আপনি বিরল প্রজাতির বেশ কিছু পাখি চাক্ষুষ করতে পারেন। এর সঙ্গে বালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তো রয়েছেই। এখানকার স্থাপত্য, মন্দির, শিল্পকলাগুলি এক কথায় অসামান্য।
আপনিও কি বিদেশে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করছেন? তা হলে বালিকে রাখতেই পারেন, আপনার পছন্দের তালিকায়। এ বার কম খরচে বালি ঘুরতে যাওয়ার জন্য আইআরসিটিসি নিয়ে এসেছে ভাল অফার। প্যাকেজটিতে বালির গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলি যেমন বিভিন্ন মন্দির, গ্রাম, ক্রুজ় ঘুরে দেখানোর ব্যবস্থা আছে। পাঁচ রাত ও ছয় দিনের এই প্যাকেজের খরচ নির্ভর করবে ভ্রমণকারীদের সংখ্যার উপর। একা গেলে খরচ পড়বে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৮০০ টাকা। দু’জন গেলে জনপ্রতি খরচ ১ লক্ষ ৫ হাজার ৯০০ টাকা। তিন জন গেলে খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৬০০ টাকা।
এই প্যাকেজে যাত্রা শুরু হবে ৮ আগস্ট লখনউয়ের চৌধুরী চরণ সিংহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। এয়ার এশিয়ার বিমানে চড়েই যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন বালি। বিমানে যাত্রীদের জন্য থাকবে সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা।
এই প্যাকেজের মধ্যে কোথায় কোথায় ঘুরতে পারবেন?
প্রথম দিন: লখনউ বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু।
দ্বিতীয় দিন: বালিতে পৌঁছনো, কেকাক নাচ উপভোগ করার সুযোগ, উলুওয়াতু মন্দির ভ্রমণ
তৃতীয় দিন: কিন্তামনি সফর, উবুদ কফি প্ল্যান্টেশন ঘুরে দেখা, রয়্যাল প্যালেস ভ্রমণ
চতুর্থ দিন: মেরিন পার্কে সাফারি ভ্রমণ, রাতে ক্রুজ়ে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন
পঞ্চম দিন: টার্টল দ্বীপে ভ্রমণ
ষষ্ঠ দিন: বালি থেকে ফিরে আসা
আরআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্যাকেজটি বুক করতে পারবেন।