Saudi Arabia

বর্ষায় মেঘ-কুয়াশায় ঢাকা, শীতে কনকনে ঠান্ডা, সৌদি আরবের মরুর মাঝেই লুকিয়ে আছে ‘কুয়াশার শহর’

সৌদি আরবের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঢাকা মরু বালুতে। তাপমাত্রাও অত্যন্ত বেশি। কিন্তু সেই মরুর মাঝেও মরুদ্যানের মতো একটি শৈলশহর আছে। নাম আল-নমাস। কেমন সেই শহর?

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
রিয়াধ শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ২০:০৩
সৌদি আরবের শৈলশহরে ঘুরতে যাবেন?

সৌদি আরবের শৈলশহরে ঘুরতে যাবেন? ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের কথা ভাবলেই মাথায় আসে বিস্তীর্ণ মরুভূমির কথা। কিন্তু মরুভূমির মাঝেই তো মরুদ্যান থাকে। তেমনই একটি জায়গা আল-নমাস। মরুভূমির রুক্ষতা তো নয়ই, বরং এখানে রয়েছে সবুজ পাহাড়। সঙ্গে মেঘ-কুয়াশার খেলা।

Advertisement

অনেকেই দক্ষিণ সৌদির এই শহরটিকে বলেন ‘কুয়াশার শহর’। কারণ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দু’হাজার ৮০০ মিটার বা ন’হাজার ২০০ ফুট উচ্চতায় থাকা এই পাহাড়ি শহর বহু সময়েই ঢেকে থাকে কুয়াশায়। সৌদির অন্যত্র যখন উষ্ণতা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যায়। তখনও এই শহরের উষ্ণতা ৩০ পেরোয় না। রাতে তাপমাত্রা নেমে আসে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। শীতকালে কখনও কখনও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায় বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সৌদির বাসিন্দাদের কাছে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই শৈলশহর। রিয়াধের থেকে এই শহরটির দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৮০০ কিলোমিটার। সড়কপথে যেতে সময় লাগে প্রায় ১২ ঘণ্টা। তবুও বহু মানুষ গাড়ি চালিয়ে চলে যান কুয়াশার শহরে। এই শতকের শেষে আরও বাড়বে বিশ্বের গড় উষ্ণতা। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে কঠিন হবে মরু শহরগুলিতে বসবাস করাও। তাই ভবিষ্যতে শুধু পর্যটন নয়, বসবাসের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এই শহর, ধারণা স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন
Advertisement