নাদালের হুঙ্কার। —ফাইল চিত্র
তৃতীয় রাউন্ডে লরেঞ্জো সোনেগোর বিরুদ্ধে সহজ জয় পেলেও, মনঃসংযোগ ভাঙার অভিযোগ উঠল রাফায়েল নাদালের বিরুদ্ধে। নাদালের বিরুদ্ধে হেরে সোনেগোর অভিযোগ, নাদাল তাঁর মনঃসংযোগ ভেঙে দিয়েছিলেন।
শুক্রবার রাতে তৃতীয় সেটের খেলা চলাকালীন সোনেগো বার বার পয়েন্ট চিৎকার করায় তাঁকে নেটের সামনে ডাকেন নাদাল। প্রতিবাদ জানান ১৪ বারের ফরাসি ওপেন বিজয়ী। ম্যাচ শেষে সোনেগো বলেন, “এক জন খেলোয়াড় কখনও তাঁর প্রতিপক্ষকে এ ভাবে নেটে ডাকতে পারে না। উইম্বলডনের মতো প্রতিযোগিতায় এটা হয় না। নাদাল আম্পায়ারকে বলতে পারত। আমার মনঃসংযোগ নষ্ট করে দিয়েছিল ও।”
গণ্ডগোল যদিও চলছিল নেটে ডাকার আগের থেকেই। তৃতীয় সেটে নাদাল যখন ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে, তখন নাদালের মারা একটি বল এসে লাগে সোনেগোর মাথায়। সেই সময় সোনেগো আলো জ্বালানোর অনুরোধ করেন। নাদাল যখন ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে সেই সময় উইম্বলডনের ছাদ ঢেকে দেওয়া হয়। সময় নষ্ট হওয়ায় খুশি হতে পারেননি নাদাল। এমন বিভিন্ন ঘটনায় দুই টেনিস খেলোয়াড়ই উত্তেজিত ছিলেন।
Whatever was put in the Wimbledon water on Saturday has drifted over to Centre Court to Rafa Nadal and his opponent. Testosterone overload? Part 1 of 2. #Wimbledon #CentreCourt100 pic.twitter.com/o6jp9B3O5F
— Omar Moore (@thepopcornreel) July 2, 2022
ছাদ ঢাকার পর ম্যাচ শুরু হতে সোনেগো ছন্দ পেয়ে যান। তিনি ৪-৪ সেটে ম্যাচ নিয়ে চলে যান। সেই সময় নাদাল তাঁকে নেটে ডাকেন। সোনেগোর চিৎকারের প্রতিবাদ করেন। সেটাই মেনে নিতে পারেননি সোনেগো। তাঁর দাবি এতেই মনঃসংযোগ নষ্ট হয় তাঁর। ম্যাচের শেষে নাদাল যদিও ক্ষমা চান।
নাদাল বলেন, “আমি কাজটা ঠিক করিনি। খুব ঠান্ডা গলায় আমি ওর সঙ্গে কথা বলি। যা ঘটছিল সেটা ওকে বলি। কিন্তু আমি যদি ফের এমন পরিস্থিতিতে ফিরে যাই, তা হলে কখনও এই কাজ করব না। আমি রেফারিকে বলেছিলাম। তিনি অপেক্ষা করছিলেন সার্ভ শেষ হওয়ার। তখন রেফারি নিশ্চয়ই কিছু বলতেন। আমরা সকলেই সহকর্মী। প্রতি সপ্তাহে দেখা হয়। টেনিস কোর্টের কিছু নিয়ম আছে। সেগুলো মেনে চলা উচিত। আমার উচিত হয়নি সোনেগোকে নেটে ডেকে কোনও কথা বলা। রেফারির জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিল।”
সোনেগোকে হারিয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন নাদাল। সেই রাউন্ডে তিনি খেলবেন বোটিক ফান ডে জান্ডশুপের বিরুদ্ধে।