ভারোত্তোলনে রুপোজয়ী চানু। —ফাইল চিত্র
মীরাবাই চানুকে তখনও কেউ চেনেন না। ভারোত্তোলনে রুপোজয়ী সেই চানুকে গ্রাম থেকে শহরে অনুশীলনের জন্য নিয়ে যেতেন ট্রাকচালকরা। অলিম্পিক্সে পদক জয়ের পর এখন তাঁদের খোঁজে চানু।
তাঁর গ্রাম নংপুক কাকচিং থেকে বেশ কিছুটা দূরে ইম্ফলের খুমান লাম্পাক স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন করতে যেতেন চানু। বিনা পয়সায় বহু ট্রাকচালক সেই সময় তাঁকে নিয়ে যেতেন বলে জানিয়েছেন চানু। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রথম পদকজয়ী চানু বলেন, “আমি সেই ট্রাকচালকদের সঙ্গে দেখা করতে চাই যাঁরা আমাকে রোজ বাড়ি থেকে অনুশীলনে নিয়ে যেতেন। আমি তাঁদের আশীর্বাদ নিতে চাই।”
অলিম্পিক্সে রুপো জিতে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ বছরের চানু। ভারত জুড়ে সকলের শুভেচ্ছা পাচ্ছেন এই ভারোত্তোলক। ইতিমধ্যেই কোটিপতি হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে ছোটবেলায় তাঁর আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। সেই সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই ট্রাকচালকরা। বিনা পয়সায় তাঁকে রোজ বাড়ি থেকে অনুশীলনে নিয়ে যেতেন তাঁরা। চানু বলেন, “আমার কঠিন সময় পাশে ছিলেন ওই ট্রাকচালকরা। আমি তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। তাঁদের যদি কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয় আমি পাশে থাকতে রাজি।”
That smile when you finally eat ghar ka khana after 2 years. pic.twitter.com/SrjNqCXZsm
— Saikhom Mirabai Chanu (@mirabai_chanu) July 29, 2021
নংপুকে চায়ের দোকান আছে চানুর মা সাইখোম ওংবি টম্বির। তিনি বলেন, “আমি চায়ের দোকান চালাই। সেখান থেকেই চানুকে নিয়ে যেতেন ওঁরা।” যাতায়াত খরচ বেঁচে যাওয়াতে চানুকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার চেষ্টা করতেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর মা।
চানুর দাদা বলেন, “আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার দূরে চানুর অনুশীলনের জায়গা। মা, বাবা ওর হাতে ১০-২০ টাকা দিত। ছোট গ্রাম আমাদের। সবাই সবাইকে চেনে। সকালবেলা গ্রাম থেকে ট্রাক যেত বাজারে। আমরা জানতাম কোন দিন কে নিয়ে যাচ্ছেন চানুকে। একা একা অনুশীলনে যেতে হলেও কোনও দিন অভিযোগ করেনি ও।”