জয় শাহ। — ফাইল চিত্র।
আমেরিকায় যে পিচগুলিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলা হচ্ছে, সেগুলির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খুশি নন ক্রিকেটারেরা। প্রাক্তন ক্রিকেটারেরাও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সমালোচনায় মুখর। অভিযোগ মেনে নিয়েছেন আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থা এবং আইসিসি কর্তারা। এর মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দ্বারস্থ হল আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থা।
নিজেদের সীমিত পরিকাঠামো এবং অভিজ্ঞতার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে আমেরিকা। আইসিসি সাহায্য করলেও লাভ কিছু হয়নি। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে আমেরিকাকে। সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে বিসিসিআইয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাইল আমেরিকা। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে কার্যত মুখ পোড়ায়, ভবিষ্যতে ভারতের উপর ভরসা রাখতে চাইছে আমেরিকা। বিসিসিআইয়ের সদর দফতরে সাহায্য চেয়ে ফোন করেছিলেন আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থার ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক কর্তা।
আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থার অপারেশনাল ম্যানেজার মনোজ বলেছেন, ‘‘ভারতে ক্রিকেটের মান অত্যন্ত উচ্চ। বিসিসিআই যে ভাবে কাজ করে, তা শিক্ষণীয়। ভারতে ক্রিকেট জনপ্রিয় হওয়ার নেপথ্যে বিসিসিআইয়ের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আগামী দিনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কাজ করতে চাই। বিসিসিআইয়ের সাহায্য ছাড়া আমেরিকার মতো বড় দেশে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তোলা কঠিন। আমরা চাইব ভারতের বিভিন্ন দল আরও বেশি আমেরিকা সফরে আসুক। সেটা জুনিয়র দল হোক বা মহিলাদের দল। বিসিসিআই সাহায্য করলে আমেরিকাতেও ক্রিকেটের প্রসার হতে পারে। আমেরিকার ক্রিকেটের জন্য এটা খুব বড় সাহায্য হবে।’’ তবে বিশ্বকাপের পিচের উন্নতি নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের কাছে কী ধরনের সাহায্য চাওয়া হয়েছে, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।
তা হলে কি আইসিসির উপর আস্থা রাখতে পারছে না আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থা? সরাসরি উত্তর দেননি মনোজ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমেরিকায় ক্রিকেট উন্নত করতে হলে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। তা করতে পারলে, আগামী দিনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে সমস্যা হবে না। ভারতের দলগুলি আমেরিকা সফরে এলে এখানে বসবাসকারী ভারতীয়েরা আরও বেশি সংখ্যায় মাঠে আসবেন খেলা দেখতে। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকার মানুষও ক্রিকেট নিয়ে ক্রমশ উৎসাহিত হবে। আশা করি, আমেরিকার ক্রিকেটের উন্নতিতে বিসিসিআই আমাদের পাশে থাকবে।’’