শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ইমারকে মোটা জরিমানা করল এটিপি। ছবি: টুইটার।
ফরাসি ওপেনের প্রথম রাউন্ডে হারের পর ৩৭,৩৭০ ইউরো জরিমানা হল সুইডেনের টেনিস খেলোয়াড় মিকেল ইমারের। যদিও তাঁর অপরাধ ফরাসি ওপেনে নয়। আগের একটি প্রতিযোগিতায় চেয়ার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভব্য আচরণ করার শাস্তি পেতে হল তাঁকে।
সেই ঘটনার জন্য ফরাসি ওপেন শুরুর এক সপ্তাহ আগেই ইমারকে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও ক্ষমা প্রার্থনার পরে ফরাসি ওপেনে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইমারের অপরাধ ফরাসি ওপেন শুরুর আগের সপ্তাহে লিঁয় ওপেনে। চেয়ার আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ইমার। ক্ষোভে আম্পায়ারের চেয়ারে র্যাকেট আছড়ে ভেঙে ফেলেন। তাঁর র্যাকেটের আঘাতে আম্পায়ারের চেয়ারেরও ক্ষতি হয়েছিল। তাঁর সেই আচরণ ভাল ভাবে নেননি এটিপি কর্তৃপক্ষ। তখনই তাঁকে লিঁয় ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পুরস্কার মূল্য ৯,৯৮০ ইউরো বা ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। পাশাপাশি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ২০ র্যাঙ্কিং পয়েন্ট। তাতেও তাঁর শাস্তি শেষ হয়নি। এটিপির এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইমারকে আরও জরিমানা করা হবে কিনা, তা বিচারাধীন। সেই মতোই সুইডেনের ২৪ বছরের টেনিস খেলোয়াড়কে মোট ৩৭,৩৭০ ইউরো বা ৩ কোটি ৩০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এটিপি ক্রম তালিকায় ৫৬ নম্বরে থাকা ইমার লিঁয়ো ওপেনে হারিয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর কার্লোস আলকারাজকে। নজর কাড়ার পরের ম্যাচেই আর্থার ফিলসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে চেয়ার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বিপক্ষে যাওয়ায় মেজাজ হারিয়েছিলেন। এটিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোর্টে এই ধরনের অভব্য আচরণ কোনও ভাবেই বদরাস্ত করা হবে না।
ইমার ফরাসি ওপেনে সিঙ্গলসের প্রথম রাউন্ডেই ৫-৭, ২-৬, ৪-৬ ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন লোরেঞ্জো মুসেত্তির কাছে। প্রথম রাউন্ডে হারার পর ইমারকে লিঁয়ো ওপেনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সকলকে যথাযথ সম্মান দিয়েই বলছি, ঘটনার ভিডিয়ো থেকেই পরিস্কার কী ঘটেছিল এবং কেন মেজাজ হারিয়েছিলাম। এটা ঠিক আমার প্রতিক্রিয়া যথাযথ ছিল না। যা করেছিলাম, তা উচিত হয়নি।’’ উল্লেখ্য, তাঁর একটি শট লাইন আম্পায়ার বাইরে পড়েছে বলে জানিয়েছিলেন। ইমারের দাবি ছিল, বল লাইন স্পর্শ করেছে। কিন্তু চেয়ার আম্পায়ার তাঁর অনুরোধ অনুযায়ী কোর্টে নেমে পল পড়ার জায়গাটি চিহ্নিত করেননি। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেজাজ হারিয়েছিলেন ইমার।