জীবনের শেষ ম্যাচ খেলার পর নাদাল। ছবি: রয়টার্স।
টেনিসজীবনের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন রাফায়েল নাদাল। মঙ্গলবার রাতে ডেভিস কাপে স্পেনের হয়ে নেমেছিলেন নেদারল্যান্ডসের বোটিক ফান জ়ান্ডশুপের বিরুদ্ধে। স্ট্রেট সেটে হেরে যান নাদাল। ম্যাচের পর কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে এল গলা। থামলেন বেশ কয়েক বার। শেষ পর্যন্ত জানালেন, টেনিস খেলার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও শরীর দিচ্ছে না বলে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছেন।
নাদালের হার এবং স্পেনের বিদায় নেওয়ার বিষয়টা মাথাতেই ছিল না মালাগার পালাসিয়ো দে ডিপোর্টেস এরিনার হাজার বিশেক সমর্থকের। ‘ভামোস রাফা’ শব্দে মুখরিত স্টেডিয়াম। নাদাল কথাই বলতে পারছিলেন না। সতীর্থেরাও তখন আবেগপ্রবণ। তাঁদেরও চোখের কোনায় জল। কষ্ট করে নিজেকে সামলাচ্ছিলেন নাদালও।
তার পরে বললেন, “আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এত ভালবাসা পেয়েছি যে বুঝতে পারছি না কোথা থেকে শুরু করব।” একটু থেমে বললেন, “২০ বছরের কেরিয়ারের বরাবর আপনারা সাহস জুগিয়েছেন, পরের পয়েন্ট জিততে সাহায্য করেছেন। কঠিন মুহূর্তে আমার পাশে থেকেছেন। আমি লড়াইয়ের সাহস পেয়েছি। স্পেন এবং গোটা বিশ্বে সমর্থকদের ভালবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত।”
নাদাল জানালেন, জোর করে নিজেকে না টেনে পরের প্রজন্মের উদ্দেশে দরজা খুলে দেওয়ার দরকার ছিল। বলেছেন, “সত্যি কথাটা হল, কোনও ক্রীড়াবিদই চায় না এই মুহূর্ত কোনও দিন আসুক। আমি টেনিস খেলতে গিয়ে কখনও ক্লান্ত হই না। কিন্তু শরীর আর চাইছে না টেনিস খেলতে। পরিস্থিতি মেনে নিতেই হবে। আমি কৃতজ্ঞ। নিজের পছন্দের একটা বিষয়কে পেশা বানাতে পেরেছি। যত দিন ভেবেছিলাম তার থেকে বেশি দিন খেলেছি।”
কোর্টের মাঝে নাদাল দাঁড়িয়ে কথা বলার পর বড় পর্দায় ভেসে উঠল একের পর এক ভিডিয়োবার্তা। কে ছিলেন না সেখানে। রজার ফেডেরার, নোভাক জোকোভিচ, অ্যান্ডি মারে, সেরিনা উইলিয়ামস, আন্দ্রে ইনিয়েস্তা, ইকের কাসিয়াস, ডেভিড বেকহ্যাম, রদ্রি, কনচিতা মার্তিনেস, সের্জিয়ো গার্সিয়া-সহ বহু নাম।