football

অন্য প্রেমের দিন মহমেডানের শেখ ফৈয়াজের

পাঁচ ভাইয়ের সংসারে তাঁর বাবা ছিলেন আতর ব্যবসায়ী। ফৈয়াজ ধীরে ধীরে ফুটবল খেলে নাম করলেও বিশেষ বদলায়নি তাঁর জীবনযাত্রা।

Advertisement
জাগৃক দে
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:২২
এই দিনটা অন্যভাবে কাটান মহমেডানের শেখ ফৈয়াজ।

এই দিনটা অন্যভাবে কাটান মহমেডানের শেখ ফৈয়াজ। —নিজস্ব চিত্র

সাধারণত ১৪ই ফেব্রুয়ারি মানে বান্ধবীর সঙ্গে ভাল রেস্তোরাঁয় খাওয়া বা একান্তে সময় কাটানো। তবে এর বাইরেও এই দিনটা অন্যভাবে কাটান মহমেডানের শেখ ফৈয়াজ। বান্ধবীর ইচ্ছায় প্রত্যেক বছর এই দিনে দরিদ্র প্রতিভাবান ফুটবলারদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন তাঁরা। সঙ্গে যোগ দেন অন্যন্য দলে খেলা কিছু ফুটবলারও।

এই বছর ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে ম্যাচ। করোনার কারণে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হচ্ছে ফুটবলারদের। তাই নিজে থাকতে না পারলেও ফৈয়াজের বন্ধুরা সাহায্য পৌঁছে দেবেন। আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি জানান, ‘‘এই দিনটায় আমরা খুদে প্রতিভাদের পাশে থাকি। অনেকেই তো অনেক কিছু করে। কিন্তু যাদের কাছে এই দিনটা অন্যান্য দিনের মতোই, এই দিনের কোনও তাৎপর্যই নেই, তাঁদের জন্য সামান্য উপহার নিয়ে যাই আমরা। আমি জানি দারিদ্রের যন্ত্রণা। তবে এই পরিকল্পনাটা আমার বান্ধবীর। ওই আমায় এই কাজে অনুপ্রাণিত করেছে।’’

Advertisement

তবে এই দিনে রেস্তোরাঁয় গিয়ে নৈশভোজ সারেন না, এমনটাও নয়। রোম্যান্টিক ফৈয়াজ জানালেন, ‘‘সকালের দিকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এইসব সাহায্য তুলে দিই, তারপর রাতে খাওয়া-দাওয়া করি কোনও বড় রেস্তোরাঁয়। এই বছর এটা হচ্ছে না ঠিকই, তবে আমার কাছে খেলাটা সবার আগে। সেটা করতে পারছি এই পরিস্থিতিতে, এটা খুব বড় ব্যাপার।’’

পাঁচ ভাইয়ের সংসারে তাঁর বাবা ছিলেন আতর ব্যবসায়ী। ফৈয়াজ ধীরে ধীরে ফুটবল খেলে নাম করলেও বিশেষ বদলায়নি তাঁর জীবনযাত্রা। আসলে বদলাতে চাননি। মহমেডান, এটিকে, মোহনবাগানের মতো দলে নিয়মিত খেলছেন। তবুও ভোলেননি নিজের অতীতকে, নিজের লড়াইকে। সেই কারণেই লড়তে থাকা মানুষের পাশে ছুটে যান তিনি। সবাই যখন প্রেমিকার সঙ্গে একান্তে সময় কাটাবেন, তখন ফৈয়াজ সাহস যোগাবেন লড়তে থাকা ফুটবলারদের।

আরও পড়ুন
Advertisement