Mohan Yadav

১৬৩ আসন পেয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, অন্য নির্বাচনে মাত্র ৫ ভোট পেয়ে ভরাডুবি মোহন যাদবের!

কয়েক দিন আগেই বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু অন্য একটি নির্বাচনে ৫০টির মধ্যে মাত্র ৫টি ভোট পেলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:২২
Picture of Mohan Yadav

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। ছবি: টুইটার।

সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন মোহন যাদব। মধ্যপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী গো-হারা হেরেছেন। ৫০ জন ভোটারের মধ্যে মাত্র পাঁচ জনের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরন সিংহ সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন মোহন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সঞ্জয় সিংহ। কিন্তু তাঁর সহকারী হওয়া হল না মোহনের। প্রাক্তন কুস্তিগির মোহন মধ্যপ্রদেশ কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হলেও বৃহস্পতিবার দিল্লি যাননি। প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানোর জন্য ভোপালেই ছিলেন। নির্বাচনে ব্রিজভূষণ সমর্থিত প্রার্থী হলেও প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারেননি।

সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদ চারটি। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে সব থেকে বেশি ৪৪টি ভোট পেয়েছেন পঞ্জাবের কর্তার সিংহ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২টি ভোট পেয়েছেন বাংলার অসিত কুমার সাহা। তৃতীয় এবং চতুর্থ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি হয়েছেন মণিপুরের এন ফোনি (৩৮টি ভোট) এবং দিল্লির জয়প্রকাশ (৩৭টি ভোট)। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সেই অর্থে লড়াই করতেই পারেননি। যদিও কয়েক দিন আগে মোহনের উপরেই আস্থা রেখেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ১৬৩টি আসনে জেতার পর শিবরাজ সিংহ চৌহানের পর মোহনকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছেন।

মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে গত জুলাই মাসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোহন। গত অগস্টে হওয়ার কথা ছিল সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন। কিন্তু পঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে যায়। মোহনের পরাজয় অবশ্য সংস্থায় ব্রিজভূষণের নিয়ন্ত্রণে কোনও প্রভাব ফেলবে না। কারণ অধিকাংশ আসনেই জয় পেয়েছেন ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ প্রার্থীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন