এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ (এবিটি)-র সদস্য সন্দেহে হরিহরপাড়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা আব্বাস আলি ও মাগুড়া এলাকার বাসিন্দা মিনারুল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ। আব্বাস গ্রেফতারের পরই বন্ধ রয়েছে তার তৈরি বেসরকারি মাদ্রাসা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় মাস ছয়েক আগে বারুইপাড়া হাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে মাদ্রাসা খোলে আব্বাস। বার্ষিক ২৫ হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে বাড়িটি ভাড়া নেয় আব্বাস। বাড়ির মালিক লাল্টু শেখ বলেন, “এক বছরের জন্য বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলাম। ভাড়ার টাকাও আগাম মিটিয়ে দিয়েছিল। দেখতাম ছেলেরা সেখানে পড়াশোনা করে। এর বেশি কিছু জানা নেই।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলেরা সেখানে পড়তে আসত। ওই মাদ্রাসার কোনও বোর্ডের অনুমোদন ছিল না বলে সূত্রের দাবি। আব্বাসের মা উম্মে হাবিবা বলেন, “ওই মাদ্রাসা চালিয়েই সংসার চলত। কী করে সংসার চলবে বুঝতেপারছি না।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মাদ্রাসাতেই পড়াশোনা করত মিনারুলের ছোট ছেলে।
সূত্রের দাবি, সেই সুবাদেই আব্বাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় মিনারুলের। অন্য জায়গায় জমি কিনে সেই জায়গায় বাড়ি তৈরি করে মাদ্রাসা তৈরির পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি মিনারুলের স্ত্রী টগরা বিবির।
আব্বাস-সহ মোট তিন জন সেখানে পড়াতেন। বাকি দুই শিক্ষক কারা ছিলেন তা অজানা স্থানীয়দের কাছেও। তাঁদের কোনও খোঁজও মেলেনি। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জানা যায়, ৩৭ জন পড়ুয়া ভর্তি হলেও ২০ জন পড়ুয়া সেখানে নিয়মিত পড়াশোনা করত। দিনের বেলাতেই চলত ওই মাদ্রাসা।