IPL 2024

৩ ক্রিকেটার: হায়দরাবাদকে হারিয়ে কলকাতাকে ফাইনালে তুললেন যাঁরা

দাপটের সঙ্গেই আইপিএলের ফাইনালে উঠে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আট উইকেটে হারিয়ে দিল তারা। ম্যাচের সেরা তিন ক্রিকেটারকে বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৪ ২৩:১২
cricket

সতীর্থদের সঙ্গে স্টার্কের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইপিএল

দাপটের সঙ্গেই আইপিএলের ফাইনালে উঠে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আট উইকেটে হারিয়ে দিল তারা। ১০ দিন পরে খেলতে নামলেও ম্যাচটিকে কার্যত একপেশে বানিয়ে ছাড়ল কলকাতা। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই দেখা গেল বুদ্ধিমত্তার ছাপ। ম্যাচের সেরা তিন ক্রিকেটারকে বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

মিচেল স্টার্ক

২৫ কোটির বোলারকে নিয়ে মরসুমের শুরুতে অনেক জল্পনা হয়েছিল। কিন্তু জাত বোলারের মতোই নিজের সেরাটা সম্ভবত তুলে রেখেছিলেন শেষ বেলার জন্য। সেটাই করলেন মিচেল স্টার্ক। মঙ্গলবার বোলিং বিভাগে কেকেআরকে নেতৃত্ব দিলেন তিনি। দ্বিতীয় বলেই ট্রেভিস হেডের দু’টি স্টাম্প ছিটকে দেওয়া থেকে শুরু। পঞ্চম ওভারে নিলেন দু’টি উইকেট। চার ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট কোয়ালিফায়ারের মতো ম্যাচে যথেষ্ট সম্মানের। দীর্ঘ দিন পরে স্টার্কের বোলিংয়ে ভাল মতো নিয়ন্ত্রণ দেখা গেল। ব্যাটারদের খুব বেশি মারার বল দেননি। শেষ ওভার বাদ দিলেন তাঁর বল খেলা কঠিন হয়ে পড়েছিল।

শ্রেয়স আয়ার

শুধু ব্যাট হাতে অর্ধশতরান নয়, মঙ্গলবার নজর কেড়ে নিল শ্রেয়সের অধিনায়কত্বও। সঠিক সময়ে বোলার পরিবর্তন করেছেন। যেমন সুনীল নারাইনকে মার খেতে দেখে নিয়ে এলেন বরুণ চক্রবর্তীকে। তিনি হেনরিখ ক্লাসেনকে ফিরিয়ে দিলেন। স্টার্কের একটি ওভার রেখে দিলেন ডেথ ওভারের জন্য। ফিল্ডিং সাজানো বা দলকে তাতানোও বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া ব্যাটিংয়ে তো আলাদা করে কিছু বলারই নেই। সুনীল নারাইন আউট হওয়ার পর নেমেছিলেন। তখনও লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশ কিছুটা দূরে কলকাতা। কিন্তু শ্রেয়সের আগ্রাসী ইনিংস সে সব মালুমই হতে দিল না। ২৪ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকলেন। মেরেছেন ৫টি চার এবং ৪টি ছয়।

রহমানুল্লাহ গুরবাজ়

ফিল সল্টের জুতোয় পা গলানোর মতো গুরুদায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। গত বারের আইপিএলে নিয়মিত খেললেও চলতি মরসুমে একটিও ম্যাচে খেলেননি। কিন্তু কোচ থেকে সাপোর্ট স্টাফ সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেছিলেন, ম্যাচ না খেললেও অনুশীলনে গুরবাজ়ের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি ছিল না। ম্যাচেও সেটাই দেখা গেল। গুরবাজ়ের মধ্যে এক বারের জন্যও আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যায়নি। প্রথম বল থেকে চালিয়ে খেললেন। পাওয়ার প্লে-র সুবিধা কাজে লাগিয়ে রান তোলার চেষ্টা করলেন।

আরও পড়ুন
Advertisement