জয়ের উচ্ছ্বাস কেকেআর ক্রিকেটারদের। ছবি: আইপিএল।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয় মূলত দলগত প্রচেষ্টার জয়। তার মধ্যেও কয়েক জন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স আলাদা করে নজর কেড়ে নিয়েছে। যাঁদের এ বারের আইপিএলে কেকেআরের প্রথম জয়ের নায়ক হিসাবে বেছে নেওয়াই যায়।
আন্দ্রে রাসেল: গত মরসুমে তেমন সাফল্য পাননি। সমালোচিত হয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এ বার প্রথম ম্যাচেই সমালোচকদের জবাব দিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন ইডেনের ২২ গজে। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৫ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন। ৩টি চার এবং ৭টি ছক্কা মারলেন রাসেল। তাঁর দাপটেই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২০০-র বেশি রান তুলল কলকাতা। পরে বল হাতেও দলকে সাহায্য করলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মাকে আউট করলেন।
সুনীল নারাইন: কেকেআরের জয়ের অন্যতম নায়ক। ওপেন করতে নেমে সাফল্য পাননি। দৃষ্টিকটু ভাবে রান আউট হয়েছেন। বোলার নারাইন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস না দেখালে ১টির পরিবর্তে ২টি উইকেট পেতে পারতেন। তবু নারাইন শনিবারের জয়ের অন্যতম নায়ক। ৪ ওভার বল করে ১৯ রান খরচ করলেন তিনি। নারাইনের বল এক বারও মাঠের বাইরে পাঠাতে পারেননি হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা। নারাইনের সামনে রান তোলার গতি কমে যায় হায়দরাবাদের। তাতে কিছুটা চাপে পড়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল। যে চাপ শেষ পর্যন্ত সামলাতে পারেনি তারা।
হর্ষিত রানা: মিচেল স্টার্কের মতো বোলার যে ম্যাচে হতাশ করলেন, সেই ম্যাচের অন্যতম নায়ক হর্ষিত। হায়দরাবাদের ইনিংসের ২০তম ওভারের তাঁর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সুবাদেই টান টান ম্যাচে জয় পেল কলকাতা। ১৭ ওভারের শেষে সুবিধাজনক জায়গায় ছিল কেকেআরই। বরুণ চক্রবর্তী এবং স্টার্ক ১৮ এবং ১৯ তম ওভারে দেন যথাক্রমে ২১ এবং ২৬ রান। তাতে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয় হায়দরাবাদের। শেষ ওভারে প্যাট কামিন্সের দলের দরকার ছিল ১৩ রান। হর্ষিত সেই ওভারে আউট করলেন পিচে জমে যাওয়া দুই ব্যাটার শাহবাজ় আহমেদ (৫ বলে ১৬) এবং হেনরিক ক্লাসেনকে (২৯ বলে ৬৩)। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে কেকেআরকে লড়াইয়ে ফেরান তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই ৪ রানে ম্যাচ জিতল কেকেআর।