ট্রেভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। —ফাইল চিত্র।
হায়দরাবাদের মাঠে তাণ্ডব দেখলেন সমর্থকেরা। ১৬৬ রানের লক্ষ্য যে ১০ ওভারের বেশি বাকি থাকতে তাড়া করে জেতা সম্ভব তা, দেখিয়ে দিলেন ট্রেভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। লখনউ সুপার জায়ান্টস যে পিচে ব্যাট করেছিল, হায়দরাবাদ যেন ব্যাট করল অন্য পিচে। অভিষেকদের খেলা দেখে সেটাই মনে হল।
প্রথমে ব্যাট করে ১৬৫ রান তুলেছিল লখনউ। ইনিংস শেষে আয়ুষ বাদোনি বলেছিলেন যে, এই পিচে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট রান তুলেছে তাঁর দল। কিন্তু বাদোনিকে ভুল প্রমাণ করে দিলেন অভিষেকেরা। তাঁরা ব্যাট হাতে নামলেন এবং লখনউয়ের বোলিংকে ধ্বংস করে দিলেন।
পাওয়ার প্লে-তেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ। কুইন্টন ডিকক (২) এবং মার্কাস স্টোইনিস (৩) অল্প রানে আউট হয়ে যান। লোকেশ রাহুল এবং ক্রুণাল পাণ্ড্য একসঙ্গে ৫ ওভার ক্রিজ়ে থাকলেও বড় শট খেলতে পারেননি। রাহুল ৩৩ বলে ২৯ রান করেন। ক্রুণাল ২১ বলে ২৪ রান করেন। ১১.২ ওভারে লখনউ ৬৬ করেছিল। ৪ উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের।
সেখান থেকে দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় নিয়ে যান নিকোলাস পুরান এবং আয়ুষ বাদোনি। তাঁরা ৯৯ রানের জুটি গড়েন। বাদোনি ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন। তাঁর ইনিংস শেষ হয় ৫৫ রানে। পুরান ২৬ বলে ৪৮ রান করেন। তাঁরা শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন।
হায়দরাবাদে পিচে বড় রান হচ্ছিল। কিন্তু বুধবার সেটা হল না। পিচ থেকে বোলারেরা যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছেন। ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ় আহমেদ ২ ওভারে ৯ রান দেন। যদিও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।
লখনউ যে রান তুলতে ২০ ওভার নিয়েছিল, হায়দরাবাদ সেই রান করতে নিল ৯.৪ ওভার। ১০ ওভারের বেশি বাকি রইল। অর্থাৎ দ্বিগুণ রান তোলা সম্ভব ছিল হায়দরাবাদের পক্ষে। হেড বুধবার ১৬ বলে অর্ধশতরান করেন। অভিষেক সেই কাজ করতে নেন ১৯ বল।
অভিষেকেরা যখন ম্যাচ শেষ করেন, তখন ৬২ বল বাকি। অর্থাৎ হায়দরাবাদের অর্ধেক ইনিংস বাকি। এত তাড়াতাড়ি যে ম্যাচ শেষ হওয়া সম্ভব তা ভাবতেই পারেননি রাহুলেরা। ম্যাচ শেষেও তাই লখনউ অধিনায়কের গলায় অবিশ্বাস ছিল স্পষ্ট।