শতরান করলেও জয় ধরা দিল না কোহলির হাতে। ছবি: আইপিএল।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগান বিরাট কোহলি। তাঁর আগ্রাসী শতরানের দাপটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু করে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান। জবাবে রাজস্থান ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৯ করল। জশ বাটলারের পাল্টা অপরাজিত শতরানের দাপটে টানা তিন ম্যাচ হারল বেঙ্গালুরু। এ বারের আইপিএলের প্রথম দু’টি শতরান এল একই ম্যাচে।
দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলেননি কোহলি। আইপিএলের আগে বেশ কিছু দিন ক্রিকেট থেকে দূরে রেখেছিলেন নিজেকে। অনুশীলনও করেননি। তাতে অবশ্য কোহলির ক্রিকেটীয় দক্ষতায় একটুও খামতি তৈরি হয়নি। চেনা মেজাজেই আইপিএলে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। শনিবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে আইপিএলে নিজের ৫৩তম অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন ৩৯ বলে। জয়পুরের ২২ গজে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে দেখা গিয়েছে কোহলিকে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্টের মতো বোলারেরা তাঁকে থামানোর উপায় খুঁজে পাননি। ওপেন করতে নামা কোহলির ব্যাট থেকে শেষ পর্যন্ত এল ৭২ বলে ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১২টি চার এবং ৪টি ছক্কা দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস।
কোহলির সঙ্গে মানানসই ছিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ডুপ্লেসিও। তিনি ৪৪ রান করলেন ৩৩ বলে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২টি চার এবং ২টি ছয়। প্রথম উইকেটের জুটিতে কোহলির সঙ্গে তুললেন ১৪ ওভারে ১২৫ রান। তিনি আউট হওয়ার পর দলের ইনিংস টানলেন মূলত কোহলি। কারণ তিন নম্বরে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ব্যর্থ (১)। চার নম্বরে নামা সৌরভ চৌহানও রান পেলেন না (৯)। শেষ পর্যন্ত কোহলির সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন ক্যামেরন গ্রিন (অপরাজিত ৫)। রাজস্থানের বোলারদের মধ্যে সফলতম চহাল ৩৪ রানে ২ উইকেট নিলেন। ৩৩ রানে ১ উইকেট নান্দ্রে বার্জারের। কোহলির দাপটের সামনে উইকেটহীন থাকতে হল বোল্ট, অশ্বিনদের।
কোহলির শতরান অবশ্য কাজে এল না। বাটলার এবং সঞ্জু স্যামসনের জুটি ম্যাচ ছিনিয়ে নিল বেঙ্গালুরুর কাছ থেকে। জয়ের জন্য ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল (শূন্য)। রিচি টোপলের ধাক্কা সামলে রাজস্থানের ইনিংসকে মসৃণ গতিতে এগিয়ে নিয়ে গেলেন বাটলার এবং সঞ্জু। তাঁদের দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা তুললেন ১৪৮ রান। এই জুটিই দলের জয়ের ভিত গড়ে দিল। মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে সঞ্জু করলেন ৪২ বলে ৬৯ রান। ৮টি চার এবং ২টি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। এ দিন রান পেলেন না রিয়ান পরাগ (৪)। ব্যর্থ ধ্রুব জুরেলও (২)। তাতেও অবশ্য চাপ হল না। বাটলারের সঙ্গে থেকে ম্যাচ শেষ করলেন শিমরন হেটমেয়ার। বাটলারের ব্যাট থেকে এল ৫৮ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৯টি চার এবং ৪টি ছয় দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস। শেষ বলে ছয় মেরে শতরান পূর্ণ করলেন তিনি। হেটমেয়ার অপরাজিত থাকলেন ৬ বলে ১১ রান করে।
বেঙ্গালুরুর সফলতম বোলার টোপলে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট যশ দয়ালের। ৩৫ রানে ১ উইকেট সিরাজের।