রিয়ান পরাগ। —ফাইল চিত্র।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে বৃহস্পতিবার দাপট দেখালেন রিয়ান পরাগ। অসমের এই ক্রিকেটার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৪৫ বলে ৮৪ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ভর করেই রাজস্থান ১৮৫ রান তোলে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে পরাগ জানালেন গত তিন দিন ধরে ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন তিনি।
দিল্লির বিরুদ্ধে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার রান পাননি। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও ব্যর্থ। তার পরেও স্কোরবোর্ডে ১৮৫ রান তোলার নেপথ্যে ছিলেন পরাগ। তাঁকে সঙ্গ দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ধ্রুব জুরেল। শেষ বেলায় রান করেন শিমরন হেটমেয়ারও। পরাগ বলেন, “গত তিন দিন আমাকে প্রচণ্ড লড়াই করতে হয়েছে। বিছানায় শুয়েছিলাম আমি। খুব ব্যথা ছিল। বৃহস্পতিবার ম্যাচ খেলার জন্য ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে খেলতে নেমেছিলাম। রান করতে পেরে তাই আমি খুবই খুশি।”
ঈশান কিশন, শ্রেয়স আয়ারের মতো ক্রিকেটারেরা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চাইছেন না। কিন্তু ব্যতিক্রম পরাগ। আইপিএলের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে জানালেন অসমের ক্রিকেটার। তিনি বলেন, “আমি জানি আমি নিজেকে কী মনে করি। কে কী বলল তাতে আমার যায়-আসে না। সে সব নিয়ে আমি ভাবি না। আমি যদি রান পাই, ব্যর্থ হই, কোনও ম্যাচে শূন্য করি, তা হলেও আমার নিজের সম্পর্কে ধারণা পাল্টাবে না। এটার কারণ অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেট। যে ভাবে আমি সেখানে রান পেয়েছি, তাতে আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করলে এই আত্মবিশ্বাসটা পাওয়া যায়।”
ইনিংসের মাঝে পরাগ বলেছিলেন, “আমাকে সঞ্জু ভাই বলেছিল শেষ পর্যন্ত খেলতে। তখন তিন উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তাই তাড়াহুড়ো করিনি। কারণ, এই উইকেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে বড় শট খেলা মুশকিল ছিল। আমি জানতাম শেষ পর্যন্ত খেললে বড় রান করতে পারব। সেটা করারই চেষ্টা করেছি।” রাজস্থান ১২ রানে ম্যাচটি জেতে।